ঢাকা: কৃষি আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। পৃথিবীর সব দেশেই গবেষণার মাধ্যমে কৃষিকে নবতর স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।
সোমবার (১৬ই নভেম্বর) বিকেল ৩টায় শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০৫০ সালকে সামনে রেখে দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা ও খাদ্য নিরাপত্তার আলোকে কৃষিকে এগিয়ে নেওয়া জন্য কৃষি বিজ্ঞানি, গবেষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি ও কৃষকের আবদান অসামান্য। তাই আমি শেকৃবি’র এ সমাবর্তন থেকে দেশের সব কৃষক ভাইদের আন্তরিক অভিবাদন জানাচ্ছি। যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতি ডিগ্রিধারীদের নিজ বিষয়ে হালনাগাদ থেকে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
কৃষি বিজ্ঞানিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব কৃষি ব্যবস্থা হাজার বছরের পর্যায়ক্রমিক উৎকর্ষতা। এসব ফসলের ‘জিন’কে কাজে লাগিয়ে দেশিয় জাতের ফসলকে স্বক্রিয়তা দেওয়ার চেষ্টা করা প্রয়োজন।
প্রথম এ সমাবর্তনে ২ হাজার তিনশ জন গ্রাজুয়েটধারী অংশ নেন। এর মধ্যে প্রতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম স্থান অধিকারী ২২ জন মেধাবিকে রাষ্ট্রপতি সোনার মেডেল পরিয়ে দেন।
সমাবর্তনের বক্তব্যে ন্যাশনাল এমিরেটাস সায়েনটিস্টের কৃষিবিদ ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা বিশ্ববিদ্যালয়ে রির্সাচ ইনস্টিটিউট স্থাপনের উপর জোর দিয়ে বলেন, উন্নত বিশ্ব যেখানে কৃষি অনুষদ রয়েছে, সেখানেই রির্সাচ ইনস্টিটিউট রয়েছে। এটি থাকলে শিক্ষার্থীরা উন্নত গবেষণার সুযোগ পাবে বলে তিনি মনে করেন।
ওই সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, শেকৃবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শাদাত উল্লা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, তিন অনুষদের ডিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হযরত আলী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এসএইচ
** শেকৃবি’র প্রথম সমাবর্তনে প্রাণের উচ্ছ্বাস