জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আর্মি (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৫ ও এয়ার ফোর্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৫ শীর্ষক দু’টি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে সেনা বাহিনীর প্রধানের পদবি ‘কমান্ডার ইন চিফ’র পরিবর্তে ‘চিফ অব আর্মি স্টাফ’ এবং বিমান বাহিনীর প্রধানের পদবি ‘কমান্ডার ইন চিফ’র পরিবর্তে ‘চিফ অব এয়ার স্টাফ’ প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে বিল তিনটি উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরে বিল তিনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে চার সপ্তাহের মধ্যে বিল তিনটি সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বিলে বলা হয়, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ দ্বারা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ কার্যকারিতা হারায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দ্য আর্মি (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ ও দ্য এয়ার ফোর্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ শীর্ষক অধ্যাদেশ দু’টি ওই সময়ের মধ্যে জারি হয়েছিল।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট আইনি শূণ্যতা সমাধানকল্পে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে না থাকায় রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। এছাড়া, সংবিধানের ৯৩(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা পূরণের জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১৩ প্রণীত হয়।
এ বিল দু’টির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধ্যাদেশটির অধীন বিধানসমূহের কার্যকারিতা জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে নতুন আইন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিলটি প্রণয়ণ করা হয়েছে। বিল দু’টি আইনে রূপান্তরিত হলে ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশে ব্যবহৃত সামরিক বাহিনীর প্রধানের পদবি ‘কমান্ডার ইন চিফ’র পরিবর্তে ‘চিফ অব আর্মি স্টাফ’ এবং বিমান বাহিনীর প্রধানের পদবি ‘কমান্ডার ইন চিফ’র পরিবর্তে ‘চিফ অব এয়ার স্টাফ’ পদবি প্রতিস্থাপিত হবে।
এছাড়া, ক্যাডেট কলেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৫ বিলে ক্যাডেট কলেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ১৯৬৪-এর অনুচ্ছেদ ৪এ পরিমার্জন করে ‘কনস্টিটিউশন অব দ্য কাউন্সিল অব ক্যাডেট কলেজ’ হিসেবে নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কাউন্সিল অব ক্যাডেট কলেজের প্রধান হবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব। সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব। এছাড়া, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অর্থবিভাগ), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব, বাংলাদেশ আর্মির শিক্ষা বিষয়ক উইংয়ের পরিচালক, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর প্রধানের মনোনীত দুইজন প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সব ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ পদাধিকার বলে কাউন্সিলের সদস্য হবেন।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৬৪ সালে জারিকৃত ক্যাডেট কলেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্সটি ১৯৭৬, ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালে দ্য ক্যাডেট কলেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স শিরোনামে সংশোধিত হয়। অধ্যাদেশ তিনটি সেনা সদরের অ্যাডজুটেন্ট জেনারেলের (সমন্বয়) শাখা ক্যাডেট কলেজ পরিচালনার আবশ্যকতা বিবেচনা করে আইনে পরিণত করার প্রস্তাব করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এসএম/এইচএ