ঢাকা: অসংক্রামক ব্যাধিজনিত অকাল মৃত্যুর হার কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধি, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক জাতীয় কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।
‘স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন স্তরে অসংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ ও পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে আর্ক ফাউন্ডেশন ও কমডিস-এইচএসডি’র সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ইউনিট।
বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধির শতকরা ৬১ ভাগই অসংক্রামক- সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে আসার প্রেক্ষাপটে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধিতে বছরে যতো সংখ্যক মানুষ মারা যায়, তার অর্ধেকেরও বেশির মৃত্যু হয় অসংক্রামক ব্যাধির কারণে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং লবণ, চিনি ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ কমালে ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন প্রণালী মেনে চললে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার ও কিডনি রোগের মতো অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করা এবং এসবজনিত মৃত্যুহার কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও স্থুলতার প্রবণতাসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে একটি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের প্রয়োজন অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মাধ্যমে এসব রোগজনিত অকালমৃত্যুর হার ২০৩০ সাল নাগাদ এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনা।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হুসেন ও আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
কর্মশালায় দেশের স্বাস্থ্যখাতের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসক, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
এসএ/আরএইচ