ঢাকা: সপ্তম পঞ্চবার্ষিক (২০১৬-২০২০) পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান সুপ্র'র চেয়ারপারসন আহমেদ স্বপন মাহমুদ।
স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্য-২০৩০ এবং সপ্তম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সপ্তম পঞ্চচবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দুর্নীতি বন্ধে সুপ্রর চেয়ারপারসন বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চত করতে হবে। এ জন্য সরকারের উচিত জাতীয় কমিটি গঠন করা।
একই সঙ্গে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকতে হবে। তা না হলে টাকা কোন দিক দিয়ে চলে যাবে টেরও পাওয়া যাবে না। কারণ সমাজে দুর্নীতি রয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বিষয়ে সাধারণ জনগণ কিছুই জানে না। এমনকি জাতীয় সংসদের সদস্যরাও জানেন না। তাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণকে জানাতে হবে, তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুপ্র’র পরিচালক এলিসন সুব্রত বাড়ৈ। তিনি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, সুশাসনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও টেকসই ভিত্তির উপর দাঁড় করানোসহ বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এর যথাযথ বাস্তবায়ন কতটুকু পরিসরে হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা সপ্তম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যথেষ্ট নয়।
আর স্বাস্থ্যখাতের বিষয়ে বলা হয়, এ খাতের বরাদ্দ দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে খুবই অপ্রতুল। দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, জনবলের ঘাটতি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও পর্যাপ্ত পরিবীক্ষণের অভাব এ সেক্টরের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সুপ্র’র ভাইস চেয়ারপারসন হোসনে আরা হাসি, জাতীয় পরিষদের সদস্য মঞ্জুরানী প্রামাণিক, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
এএসএস/এএ