ঢাকা: চরাঞ্চলের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও তা খরচ না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চর কনভেনশন রিপোর্ট’র প্রকাশ ও চর উন্নয়নে চরবাসীর ১৪ দফা দাবি অনুষ্ঠানে এ কথা হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চরাঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া সামান্যই লাগে। প্রযুক্তি, ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কম থাকায় তারা উন্নয়নের অংশীদার হতে পারেন না। গত অর্থবছরে চরাঞ্চলের উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যা এ বছরও আছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রণালয় বুঝতে পারেনি, কোন মন্ত্রণালয় খরচ করবে। পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এবারও খরচ করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের চরাঞ্চলে গিয়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিতে অনীহা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও যদি সেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন, তাহলে তা দু:খজনক। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা বিষয়টিকে তাদের মনিটরিংয়ের আওতায় নিতে পারেন।
আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোনো নতুন চর জেগে উঠলে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান তা অ্যাকোয়ার করে নেয়। সেখানে ভূমিহীন মানুষকে উঠতে দেয় না। তাহলে ভূমিহীন মানুষ যাবে কোথায়? বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ন্যূনতম মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে, এটা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।
তিনি প্রস্তাব করেন, চরের যেসব মানুষ ভূমি হারাচ্ছে, তার একটি ডাটা ব্যাংক তৈরি করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। নতুন যেসব চর গজিয়ে উঠছে, সরকার তার তথ্য সে ডাটা ব্যাংকে রাখতে পারে। অথবা এক জেলার ভূমি হারা মানুষকে অন্য জেলায় বসবাসের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে ‘১ম জাতীয় চর সম্মেলন-২০১৫’ পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত ‘চর কনভেনশন রিপোর্ট’র প্রকাশনা ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে চরবাসীর পক্ষে ১৪ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
এতে অর্থনীতিবিদ খন্দকার ইব্রাহীম খালিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম মুসা, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেমি তেরজি, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্নেহাল ভি সোনেজি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
আরইউ/আরএইচ