জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: চলতি অর্থ-বছরে সরকারি নন-ক্যাডার পদে মোট ৩ হাজার ৫শ’ ১৯ জন লোক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নাজমুল হক প্রধানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকারি দফতরগুলোর শূন্য পদে জনবল নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং এর নিয়ন্ত্রণাধীন দফতর-সংস্থাসমূহের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম-কমিশনের মাধ্যমে ১ম ও ২য় শ্রেণির শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শূন্য পদে সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী জববল নিয়োগ করা হয়।
‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ২১৫৮টি পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে। প্রাক-চরিত্র যাচাই, স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন পাওয়ার পর উপযুক্ত বিবেচিত প্রার্থীকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে’।
তিনি বলেন, তাছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ থেকে প্রাপ্ত রিকুইজিশনের প্রেক্ষিতে পিএসসি ১ম ও ২য় শ্রেণির গেজেটেড পদে নিয়োগের সুপারিশ করে থাকে। সে মোতাবেক চলতি অর্থ-বছরে সরকারি নন-ক্যাডার পদে মোট ৩৫১৯ জন লোক নিয়োগ করা হবে।
পটুয়াখালি-৩ আসনের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, বিগত ৫ বছরে জনপ্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তার সংখ্যা সর্বমোট ৬৫৪ জন। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ৫৫১ জন এবং জনসাধারণের মধ্য থেকে বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৩ জন।
ঢাকা-৭ আসনের হাজি মো. সেলিমের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে সাধারণ কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭ মার্চ ১৯৯৭ তারিখের স্মারকে জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে ১ম ও ২য় শ্রেণির পদগুলোর বিদ্যামান কোটা বহাল আছে বলে জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
এসএম/আইএ
** ‘আগুন সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে’
** সরকারি ছুটি বাড়ানোর আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই
** ৩৭তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারিতে