ঢাকা: এ বছরের ৬ জুন বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোস্টাল শিপিং অ্যাগ্রিমেন্ট, পিআইডাব্লিউটিটি এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারসংক্রান্ত সমঝোতার পরবর্তী ধাপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের নৌচলাচলের ক্ষেত্রে মাশুল নিয়েও অগ্রগতি হয়েছে।
ভারতের নয়াদিল্লিতে সোমবার (১৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত নৌসচিব পর্যায়ের বৈঠকের তৃতীয় ও শেষ দিন বুধবার (১৮ নভেম্বর)।
এদিন দিল্লি ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তিন দিনব্যাপী বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হতে পারে।
বৈঠকের প্রথম দিনে সোমবার দুই দেশের মধ্যে যাত্রী ও পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে রোববার (১৫ নভেম্বর) দুই দেশের মধ্যে কোস্টাল শিপিং চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই হয়েছে।
বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবারের বৈঠকে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের (পিআইডাব্লিউটিটি) আওতায় বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল রুটে আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্ট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে ট্রানজিটসংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ, নৌ-প্রটোকল রুটের নাব্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের আর্থিক দায়-দায়িত্ব ও করণীয়, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারসংক্রান্ত প্রটোকল অনুস্বাক্ষর এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী ও পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলসংক্রান্ত খসড়া সমঝোতা স্মারকপত্র বিষয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিয়ে দিল্লি গেছেন নৌসচিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এসএস