ঢাকা: ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে (নিলয়) ফেসবুকে হত্যার হুমকিদাতা ও হত্যার পর এর দায় স্বীকারকারী তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিলয়কে ফেসবুকে হত্যার হুমকিদাতা মুফতি মাওলানা আবদুর গাফফার, হত্যার পর আনসার আল ইসলাম নামে ফেসবুক পেজ থেকে হত্যার দায় স্বীকারকারী মর্তুজা ফয়সাল সাব্বির ও তারেক।
মনিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে মুফতি মাওলানা আবদুর গাফফারকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে ও মর্তুজা ফয়সাল সাব্বিরকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে তারেককে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আবদুল গাফফার চট্টগ্রামের আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসায় পড়ার সময় তার বন্ধুদের মাধ্যমে জিহাদি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হন। তাদের মাধ্যমেই ফেসবুক চালাতে শেখেন। ইসলামের সৈনিক, সত্যের পাইক, আব্দুল গাফফার প্রভৃতি নামে তার একাধিক ফেসবুক আইডি রয়েছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিলয়কে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি। হত্যাকারীদের সঙ্গে তার যোগসাজশ থাকতে পারে। এ বিষয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলা সংক্রান্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
তিনি আরও জানান, নীলাদ্রী হত্যার দায় স্বীকারকারী মর্তুজা ফয়সাল সাব্বির সীতাকুণ্ডের স্থানীয় ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজের এডমিন হিসেবে কাজ করেন। তিনি ভাটিয়ারী ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি। তার সঙ্গে বিভিন্ন জিহাদি ওয়েবসাইটের এডমিনদের যোগাযোগ আছে।
নীলাদ্রী হত্যাকাণ্ডের পর আনসার আল ইসলাম নামে একটি পেজ খুলে তাতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো বলে সাব্বির স্বীকার করেছেন।
ওই স্ট্যাটাসে তারেক প্রথম লাইক দেন এবং ধন্যবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেন। তারেক সীতাকুণ্ড থানা ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি।
তারেকের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ২০টির বেশি মামলা রয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া সম্ভব, বলেন ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গত ৭ আগস্ট দুপুরে খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ানে ১৬৭ নম্বর বাসার পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে ঢুকে নিলয়কে (৪০) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন গণজাগরণ মঞ্চের এই সক্রিয় কর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫/আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, ১৫৪৮ ঘণ্টা
এনএ/ওএইচ/এসজেএ/আরএম