ঢাকা: ‘রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে পারিবারিক কোনো সিদ্ধান্ত নেই’ বলে জানিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর।
তিনি বলেছেন, আমরা পরিবারের সদস্যরা তার (মুজাহিদ) সঙ্গে কারাগারে দেখা করার চেষ্টা করছি।
মাবরুর বলেন, দেখা করতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করবো। কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে দেখা করবো। আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলবো। তিনি যদি ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আইনজীবীদের পরামর্শ অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) মুজাহিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মুজাহিদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
এরপর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মুজাহিদের ছেলে বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ে আমরা হতাশ। তার বিরুদ্ধে কোনো হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তারপরও ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হলো। আমাদের পরিবার এ রায় প্রত্যাখ্যান করছে।
সর্বোচ্চ আদালতের বুধবারের রায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো একাত্তরের কিলিং স্কোয়ার্ড আলবদর বাহিনীর প্রধান মুজাহিদের মামলার আইনি লড়াই। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকরের বিষয়টিও চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছালো। সর্বশেষ ধাপে এখন কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন তিনি। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
আইন অনুসারে তখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে যেকোনো সময় মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।
তার বাবার মামলার বিষয়ে আর কোনো আইনি প্রক্রিয়া অবশিষ্ট রইলো না, এখন কি করবেন- এ প্রশ্নের জবাবে মাবরুর বলেন, আইনগত যেকোনো পদক্ষেপ আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এমএইচপি/এনএ/এসএইচ/এএসআর
** মুজাহিদের ফাঁসি বহাল