ফরিদপুর: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর।
তার বাবার নামে মাওলানা আব্দুল আলী সড়কে প্রবেশের পর তিন/চারটি বাড়ি পেরুলেই এ যুদ্ধাপরাধীর বসতবাড়ি।
সরেজমিন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একতলা বাড়িটির সামনে কিছুটা ঝকঝকে হলেও ঘরের ভেতরে ধুলাবালি আর মাকড়সার ঝুলের আস্তর। পোকা-মাকড় ছাড়া সেখানে আর কিছুই নেই। একটি পুরনো তালা ঝুলছে ভবনটির দরজায়। গত কয়েক বছরে সে তালা আর খোলা হয়নি।
ওই এলাকার শান্তি কমিটির সদস্য মাওলানা আব্দুল আলীর সাত ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে মুজাহিদ পঞ্চম। ভাইদের মধ্যে চার ভাই জীবিত। এদের সবাই ঢাকায় থাকলেও বড় ভাই আলী আফজাল মোহাম্মদ খালেছ মুজাহিদের বাড়ির পাশেই থাকেন। তিনিই মাঝে মধ্যে মুজাহিদের বাড়িটি দেখভাল করেন।
ফরিদপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আলী আফজাল মোহম্মদ খালেছ বাংলানিউজকে বলেন, ২০১০ সালে মুজাহিদ গ্রেফতার হওয়ার পর ফরিদপুরের বাসায় আর কেউ আসেননি। মুজাহিদের স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে সবাই ঢাকায় থাকেন। তাই এ বাড়িতে থাকার কেউ নেই।
মুজাহিদ গ্রেফতার হওয়ার আগে নিয়মিত ফরিদপুরে আসতেন। অনেকেই তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন, তখন জাঁকজমক ছিলো।
তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন মুজাহিদ।
এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও লেখাপড়া করেছেন। তার ভাইয়ের দাবি, লেখাপড়ার জন্য ১৯৬৮ সালে ফরিদপুর থেকে চলে যান মুজাহিদ। এরপর আর নিয়মিত ফরিদপুর থাকা হয়নি তার।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) মুজাহিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মুজাহিদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
আরএ/এএ