ঢাকা: সৌদি আরবে গত ওমরাহ’র সময় ১১ হাজার ৪৮৫ জনকে পাচারের দায়ে ৬৯টি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, লাইসেন্স বাতিল করা ৬৯টি এজেন্সির জামানত বাতিল ও ২৬টির অর্থদণ্ডসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী আরও জানান, ১৪ হাজার ৪৮৫জন ওমরাহ করতে গিয়ে ফেরত আসেনি। ওমরাহ পাঠানো ১০৪ এজেন্সির বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করি। এর মধ্যে ৬৯টির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
২৬টিকে অর্থদণ্ড আর বাকি ৯টি এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ পূণতদন্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী জানান, ১০৪ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে গত ২১ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ধর্ম মন্ত্রণালয়ে।
প্রতিবেদনে এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্তসহ সর্বনিম্ন ৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ শাস্তির পাওয়া জেমিনি ট্রাভেলস লিমিটেড, সবুজ বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এবং মারুফ ট্রাভেলসকে ২ কোটি জারিমনা, লাইসেন্স বাতিল এবং জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এই তিন এজেন্সির পাঠানো ৫০৮ থেকে ৯৪০ জন পর্যন্ত ওমরাহ শেষে ফেরত আসেনি।
অভিযুক্ত গোল্ডেন বাংলা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, এলাইট ট্রাভেলস, রব্বানি ওভারসিস সার্ভিস এবং পারাবত ট্রভেলসকে দেড় কোটি টাকা জারিমানা করা হয়।
এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয় এমএমআর এভিয়েশন, রওশন ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইউনাইটেড স্টারস ট্রাভেলস, আফতাব ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এবং থ্রি স্টার ট্রাভেলসকে।
এছাড়া বিভিন্ন এজেন্সির বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী জরিমানা করা হয়।
অপরাধী এজেন্সি মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এরা বাংলাদেশের বেইজ্জতি করেছে, দেশকে ডুবিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে জানানো হয়েছিল হাব (হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) নেতাসহ বিভিন্ন এজেন্সি থেকে পাঠানো লোকজন আর ফেরত আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪/১৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ১০১৫
এসএমএ/এসএইচ