সিলেট: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরও দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সাক্ষ্যগ্রহণের নবম কার্যদিবসে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় আহত স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও নজরুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।
এদিন কারান্তরীণ ১৪ আসামির মধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত মেয়র জিকে গাউস, হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১২ আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
তবে আদালতের নির্দেশক্রমে অসুস্থতার কারণে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য নেওয়া হবে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর)। ওই দিন মামলার তিন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত থাকার কথা।
এরআগে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণের অষ্টম দিন ধার্য ছিলো। ওইদিন আসামিদের যথারীতি হাজির করা হয়। তবে সাক্ষী হাজির না থাকায় বিচারক ১৮ ও ১৯ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
আলোচিত এ মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা ১শ ৭১ জন। এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান, ২১ অক্টোবর তিনজন ও ৫ নভেম্বর দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন।
গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আব্দুর মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ২৫ জনের নামোল্লেখ করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি সিলেট জোনের এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল।
মামলায় আসামি হওয়ায় এ বছরের ৭ জানুয়ারি সিসিকের মেয়র পদ থেকে আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর হবিগঞ্জের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এনইউ/এএ