ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুজাহিদ-সাকার ফাঁসি

ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তাদের বৈঠক

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তাদের বৈঠক আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী

কেন্দ্রীয় কারাগারের গেট থেকে: আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহালের পর পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা নির্ধারণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বৈঠক করেছেন ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জামায়াতের সেক্রেটারি মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মুজাহিদ ও সাকার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

রায় ঘোষণার পর দুপুরে কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

এর আগে সোমবার (১৬ নভেম্বর) সাকা চৌধুরীকে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। সাকার কনিষ্ঠ আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম আলফেসানি বাংলানিজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। মুজাহিদ আগে থেকেই এই কারাগারে রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে আইজি প্রিজন ব্রি. জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার, সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবিরসহ কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রিভিউ খারিজের মধ্য দিয়ে মুজাহিদ-সাকার মামলার বিচারিক কার্যক্রম ও সমস্ত আইনি লড়াই শেষ হয়েছে। আইন অনুসারে এখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সর্বশেষ ধাপ রাষ্ট্রপতির কাছে আসামিদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টিও কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই হবে।  

কারা সূত্র জানায়, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণসহ ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া বৈঠকে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে গোপনীয় বলে বিস্তারিত জানায়নি সূত্রটি।

গত ১ অক্টোবর মুজাহিদ-সাকার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই কারাগারে লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা ও ফাঁসির চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয় তাদেরকে। আগের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর ওই দু’জনের আপিল খারিজ করে ফাঁসি বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের প্রকাশ করা পূর্ণাঙ্গ চূড়ান্ত রায়ের ভিত্তিতে এ মৃত্যু পরোয়ানা  জারি করেন বিচারিক আদালত।

গত ১৪ অক্টোবর রিভিউ আবেদন করার পর থেকে মৃত্যু পরোয়ানা স্থগিত ছিল। বুধবার রিভিউ খারিজ হওয়ায় ফের সচল হয়েছে এ পরোয়ানা। এখন মুজাহিদ ও সাকাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকরের বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারের এক্তিয়ারাধীন।

তবে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে এখন কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন আসামিরা। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো আইনি বাধা থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ১০১৫
এনএ/এসএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।