ঢাকা: নাম তার হোসনে আরা। বয়স ৩৬ বছরের মতো হবে।
আটকের পর হোসনে আরা আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন সদস্য (এপিবিএন’র নায়েক) জসিম উদ্দিনের ওপর চড়াও হয়ে বলেন, ‘ছাড়া পাইয়া দেইখ্যা নিমু তোরে। ’
এ সময় তিনি নায়েক জসিম উদ্দিনকে শুধু দেখে নেওয়ার শুধু হুমকি দেননি, এপিবিএন’র ক্ষমতা সম্পর্কেও কটূক্তি করেন। তিনি বলেন, ‘আমারে ধইরা লাভ নাই। এপিবিএন’র দৌড় আমার জানা আছে। ’
তবে ইমপোর্ট কার্গো গেটের সামনে থেকে আটক করে এপিবিএন কার্যালয়ে নিয়ে আসা হলে তিনি সব অস্বীকার করেন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, চা-পান বিক্রির আড়ালে গত ছয় মাস যাবৎ বিমানবন্দর চত্বরে গাঁজা বিক্রি করে আসছিলেন হোসনে আরা। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তাকে আটক করা যাচ্ছিলো না। বুধবার চা-পান বিক্রির পাশাপাশি গোপনে গাঁজা বিক্রির সময় তাকে হাতে-নাতে আটক করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার বাটপাড়ায়।
পরে তাকে জেরার মুখে হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এপিবিএন’র নায়েক জসিম উদ্দিনকে হুমকি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন হোসনে আরা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এপিবিএনকে কেন হুমকি দিবো। আমি অন্য একজনকে বলছি, পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাইলে দেইখ্যা নিমু। রাগ হইলে কতো মানুষ, কতো কিছুই না কয়। ’
হোসনে আরা বলেন, ‘আমি গত ছয় মাস যাবৎ বিমানবন্দরে চা-পান বিক্রি করি। গাঁজা বিক্রি করতে যামু কোন দুঃখে। তবে ক্যামনে গাঁজার প্যাকেট আসছে আমার ব্যাগের মধ্যে তা জানি না। ’
এ সময় এপিবিএন’র সহকারী পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শুরু করলে কেঁদে ফেলেন হোসনে আরা। তিনি বলেন, ‘আপা আমি কিছু জানি না। আমি হুমকি পুলিশরে দেই নাই। অন্য একজনরে দিছি। ’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক হোসনে আরাকে বিমানবন্দরের ভাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান সুপার তানজিনা আক্তার।
তিনি জানান, বিকেল ৪টার দিকে এপিবিএন’র সদস্যরা বিমানবন্দরের ইমপোর্ট কার্গো গেটের সামনে থেকে হোসনে আরাকে ৩৩টি গাজার পুড়িয়াসহ আটক করা হয়। আটকের পর তিনি এপিবিএন’র সদস্য জসিম উদ্দিনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
ইউএম/টিআই