ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বৈধ চালকের তুলনায় নিবন্ধিত গাড়ি ১০ লাখ বেশি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
বৈধ চালকের তুলনায় নিবন্ধিত গাড়ি ১০ লাখ বেশি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দেশে বৈধ লাইসেন্সধারী চালকের তুলনায় ১০ লাখ বেশি নিবন্ধিত মোটরযান রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী জানান, সারাদেশে লাইসেন্সধারী গাড়ি চালকের সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন।

অপরদিকে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ২৪ লাখ ৪ হাজার ১১৪টি। এতে লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালকদের সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এ সময় সংসদে সভাপতির আসনে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ভুয়া লাইসেন্সধারী চালক ও মোটরযানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিআরটিএ জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।

সরকার দলীয় অপর সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৩১৪টি মামলার মাধ্যমে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

‘এক হাজার ২৬৬ জন আসামিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ২ হাজার ৮১৬টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে’- বলেও যোগ করেন কাদের।

মন্ত্রী আরও জানান, পাঁচটি ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো চালু করার চেষ্টা করেও সম্পূর্ণ সফল হতে পারিনি।  

এম আবদুল লতিফ লিখিত এক প্রশ্নে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান সড়ক দুর্ঘটনা রোধ এবং গণপরিবহনে শঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রতিটি বৈঠকেই পুরনো সিদ্ধান্ত নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। কাউন্সিলের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের জন্য ১৬টি পুরনো পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।  

সংরক্ষিত ১৮ আসনের সদস্য মাহজাবিন খালেদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যানবাহন চলাচলের যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার অধীনে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যয় নিজ নিজ দেশ বহন করবে। এক্ষেত্রে সব দেশেরই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহের আর্থিক সহায়তা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এসএম/এসকে/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।