ফরিদপুর: যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের দাফনের জন্য আইডিয়াল ক্যঅডেট মাদ্রসা প্রাঙ্গণে কবর প্রস্তুত করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে এ রায় কার্যকর হওয়ার পর এ খবর খোড়ার কাজ শুরু করে স্বজনরা।
এদিকে মুজাহিদের নামাজের জানাজা পড়ানো ইচ্ছা পোষণ করেছেন তারই বড় ভাই জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আলী আফজাল মোহম্মদ খালেছ। তিনি যদি সময় মতো ফরিদপুর পৌঁছাতে পারেন তাহলে জানাজা পরিচালনা করবেন।
এর আগে রাতে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করে এসে জানিয়েছিলন, ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা গেটের পাশে তাদের পারিবারিক জমিতে মুজাহিদকে দাফন করা কথা।
কারাগারের গেটে মুজাহিদের ভাগ্নে ফজলুল হাদি সাব্বির জানিয়েছেন, আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা গেটের পাশে পারিবারিক জমিতে তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মুজাহিদের বাবা আবদুল আলীর নামের সড়কে অবস্থান নেওয়া সবাইকে সরিয়ে দিয়েছেন এবং মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের চারশ গজের মধ্যে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
রাত ২টা ৫৫ মিনিটে কারা অ্যাম্বুলেন্সে করে মুজাহিদের মরদেহ ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
নিরাপত্তার জন্য বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য, আমর্ড পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে মুজাহিদের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকায়।
তবে মুজাহিদের তিন ভাই আলী ইকবাল মোহম্মদ তৌফিক, আলী আজম মোহম্মদ রেজওয়ান, আলী আশরাফ মোহম্মদ শোয়ায়েব ও মা নুর জাহান খানমের কবর রয়েছে ফরিদপুর আলীপুর কবরস্থানে।
মুজাহিদের বাড়ি ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহর জুড়ে র্যাব টহল দিচ্ছে। এর বাইরে সাদা পোশাকেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদারে মাঠে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
বিএইচ/এসএইচ