ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশের জন্য ২৪ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
রোববার (২২ নভেম্বর) আসামি পক্ষের শুনানির পর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) এ মামলার অভিযোগ গঠনের উপর শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। পরে আসামি সাখাওয়াত হোসেন ও বিল্লাল হোসেনের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ানের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল রোববার (২২ নভেম্বর) শুনানির জন্য রেখেছিলেন।
শুনানিতে আব্দুস সাত্তার পালোয়ান তার মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, প্রসিকিউশন মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব অভিযোগ এনেছে, এসব অভিযোগের কোনোটির সঙ্গেই তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না।
এ আইনজীবী তার মক্কেলকে প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় সাখাওয়াত হোসেন ছাড়া অন্য আট আসামিরা হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।
আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. লুৎফর মোড়ল। বাকি ছয়জন পলাতক।
এদিকে, গত মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) আসামি মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. লুৎফর মোড়লের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ০৮ সেপ্টেম্বর নয়জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এতে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই সাখাওয়াতসহ যশোরের কেশবপুরের ১২ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এ অভিযোগ আমলে নেওয়ার দিন তিনজনকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৬ জুন এ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা।
সাখাওয়াতসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে মামলা দায়ের করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
২০১২ সালের ০১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত ১৩ জুন শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান।
মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩২ জনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এমএইচপি/এসএস