ঢাকা: প্রাণভিক্ষা চেয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ আদালতের রায়ের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তারা অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সালাউদ্দিন ১০ দিন কম ৫ বছর এবং মুজাহিদ ৪ বছর ৬ মাস সময় পেয়েছেন। এটি দ্রুতবিচার ছিল না, আপিলের সুযোগ ছিল। আইনগত সব সুবিধা তারা পেয়েছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার নয়, ফাঁসি হয়েছে অপরাধীর। বহির্বিশ্বের কারও অনুরোধ আমলে না নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুখ, দল, ধর্ম ও পরিবার দেখে বিচার করায় বিশ্বাস করে না বলেও মন্তব্য করেন হাসানুল হক ইনু।
রোববার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় কক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যে যেভাবেই বলুক না কেন, তাতে যাই লেখা থাকুক না কেন, আসামিদের দরখাস্ত রাষ্ট্রপতি গ্রাহ্য করে থাকেন। তিনি ক্ষমা না করায় রায় কার্যকর হয়েছে। প্রাণভিক্ষা চেয়ে তারা (সালাউদ্দিন ও মুজাহিদ) প্রকারান্তরে আদালতের রায়ের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। এতে অপরাধ স্বীকার করে নেওয়াই হলো।
মুক্তিযুদ্ধে তাদের জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিচার হয়েছে। ৭১’র প্রেক্ষাপটে চিন্তা করতে হবে এটা- যোগ করেন ইনু।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী দুজনের একজন বিএনপির, অন্যজন জামায়াতের। বিরোধীদলকে দমনের পদক্ষেপ নয়, তারা অপরাধী। যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের যারা রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেয় তারা জনগণের নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এসকেএস/এমজেএফ