ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
বাংলাদেশ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি, রায়ও কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছি। যে অপরাধ তারা করেছিলেন সেই অপরাধের সীমা নেই।

দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ অভিশাপ বয়ে আসছিল।

বিচার সম্পন্ন করতে না পারলে অভিশাপ থেকে মুক্তি হবে না, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অভিশাপ থেকে মুক্তি পচ্ছে বলেও মত দেন তিনি।
 
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে যারা স্বজন হারানো বেদনা নিয়ে বেঁচে আছেন, তাদের মন শান্তি পাবে। বিচার সম্পন্ন করতে না পারলে অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অভিশাপ থেকে আস্তে আস্তে মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তি পচ্ছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আর্মি অ্যাক্ট ভঙ্গ করে একাধারে রাষ্ট্র প্রধান ও সেনা প্রধান হিসেবে কত অফিসারকে হত্যা করেছেন। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছেন তিনি।
 
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, দুর্ভাগ্য হলো ২০১৩ সালে নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি আন্দোলনের নামে শত শত মানুষকে হত্যা করেছিল। নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল। তখন বিএনপি নেত্রী ঘোষণা দেন- এই সরকারকে উৎখাত না করে ঘরে ফিরবেন না। উনি থাকলেন অফিসে, প্রায় ৬৫ জন মানুষ নিয়ে উনি তিন মাস গুলশান অফিসে থাকলেন। উনি এখন পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করেননি। অবরোধ এখনও আছে!
 
শেখ হাসিনা বলেন, অবরোধের নামে তিনি প্রায় ৫শ’ জন মানুষ হত্যা করলেন। সাধারণ জনগণ যারা বাসে চলে, ট্রেনে যায়, প্রাইভেটকারে ভ্রমণ করে তার হাত থেকে কোনো কিছুই বাদ যায়নি। প্রায় ২ হাজার ৫৮৩টি গাড়ি তিনি পুড়িয়েছেন। শুধু তাই নয় ১ হাজার ১৩৮টি প্রাইভেট গাড়ি, ১৮টি রেল, ৮টি লঞ্চ পুড়িয়েছেন তিনি। এভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন বাংলাদেশে।
 
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষ হত্যা করা, সাধারণ মানুষের সম্পদ ধ্বংস করা, রাজনীতি হয় কিভাবে? এরপর তিনি বিদেশ গেলেন তারপর দেখি বাংলাদেশে বিদেশি হত্যা হচ্ছে।

তবে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সক্রিয় এবং তারা কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
‘হরতাল-অবরোধের পরও আমরা ৬ দশমিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রায় দেড় কোটি বেকারকে আমরা কর্মসংস্থান দিতে পেরেছি। ৩৮ লাখের মতো মানুষকে বিদেশে পাঠিয়েছি’- যোগ করেন শেখ হাসিনা।

১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল সারা বাংলাদেশে করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাপী এই শিল্প গড়ে তুলতে চাই। তাহলেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যে এলাকায় যে পণ্য উৎপাদন হয়, সেগুলোকে সংরক্ষণ করার বিষয়ে কাজ করবে। দারিদ্র্যের হার ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনবো। এখন আর কেউ বাংলাদেশকে তুচ্ছ করতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫, আপডেট ২২০০
এসএম/আইএ

** বিদেশিদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ দেশ বাংলাদেশ
** বছরের শেষ অধিবেশনের সমাপ্তি
** এমপি স্টিকার ব্যবহার করে সাড়ে ৫ হাজার গাড়ি
** সংসদে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বিল পাস
** সাকা-মুজাহিদ বিরোধী দলের নন, মানবতাবিরোধী অপরাধী
** পাকিস্তানকে আর আশকারা দেওয়া যায় না
** হজ ভিসায় বিদেশে থেকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে
** সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবি
**মানুষ পাপ করলে পাসপোর্ট অফিসে যায়!’
** শিশু ম‍ৃত্যুর হার হাজারে ২০-এ নামানোর অঙ্গীকার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।