সারিয়াকান্দি (বগুড়া): বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বন্যামুক্ত এলাকায় আগাম টমেটো চাষ করে অধিক ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
হাড়ভাঙা পরিশ্রম এবং উৎপাদনে অনেক টাকা খরচের পর পাকা টমেটো বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও বিল এলাকা হিসেবে পরিচিত ফুলবাড়ি, নারচী ও ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের অনেক গ্রামে কৃষকরা চলতি বছর আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছেন।
আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে জমিতে চারা গাছ তৈরির জন্য বীজ রোপণ করেন কৃষকেরা। চারা গাছের বয়স যখন ২৫ দিন হয় তখন সেই চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপণ করেন। চারা রোপণের আগে জমির মাটি উত্তমরূপে রোগ জীবাণুমুক্ত করার জন্য মাটি শোধন করা হয়।
ফুলবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের গ্রাজুয়েট চাষি মহিদুল ইসলাম মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, তিনি এবার ৩৩ শতাংশ জমিতে মিন্টু জাতের টমেটো চাষ করেছেন। টমেটোর খেতকে রোদের তাপ ও বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেওয়া পরামর্শ কাজে লাগান তিনি।
সে পরামর্শ ও ড্রইং ডিজাইন অনুসরণ করে বিশেষ সেড ঘরে চারা গাছ তৈরি করার পর একদিকে ২২ ইঞ্চি অন্যদিকে ২৭ ইঞ্চি দূরত্ব বজায় রেখে চারা রোপণ করা হয়।
এ হিসেবে তার ৩৩ শতক জমিতে মোট ৩ হাজার ৭শ’টি চারা গাছ রোপণ করা হয়। সবমিলিয়ে জমিতে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এখন ওই খেতে প্রতিটি গাছে ২/৩ কেজি করে টমেটো ধরেছে।
ইতোমধ্যে খেতের টমেটো পাকতে শুরু করেছে। জমি থেকে কৃষকরা পাকা টমেটো উত্তোলন করে বিক্রির জন্য বাজারে তুলছেন। প্রতিদিন পাইকারি ব্যবসায়ীরা জমি থেকে প্রতি মণ টমেটো ৩ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ২শ’ টাকা মণ দরে কিনছেন।
একই গ্রামের সফল টমেটো চাষি হিসেবে পরিচিত সিরাজুল ইসলাম ৪০ শতক ও ছানাউল ইসলাম ৬৬ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। আগাম জাতের টমেটো চাষে ভালো দাম পাওয়ায় টমেটো চাষিরা অনেক খুশি।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৪১ হেষ্টর জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। আগাম টমেটো বাজারে বিক্রি করে কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
আরএ/এএসআর