ঢাকা: ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার চাকরিচ্যুত শিক্ষক পরিমল জয়ধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ ধর্ষণ মামলার এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকরা পরিমলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মহামান্য বিচারক রায় দিয়েছেন। আমি কী বলতে পারি? দুই মাসের মধ্যে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো। ’
এ সময়ই তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজ মিয়া তাকে চুপ থাকতে বললে আর কোনো কথা বলেননি পরিমল।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১১ সালের ৫ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানায় ওই ছাত্রীর বাবা মামলা করেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে ধর্ষণ করেন পরিমল। এ সময় ওই ছাত্রীর নগ্নদৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করা হয়। পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে ১৭ জুনও ধর্ষণ করা হয়।
মামলার পর ২০১১ সালের ৬ জুলাই কেরাণীগঞ্জে পরিমলের স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর অধিকতর তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবে খোদা ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমান ও অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে শুধু পরিমল জয়ধরকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন।
২০১৩ সালের ৭ মার্চ পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট ‘রুদ্ধদ্বা’র কক্ষে (ক্যামেরা ট্রায়াল) ধর্ষিতার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
মামলায় ধর্ষিতার মাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বুধবার রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি ফোরকান মিয়া এবং পরিমলের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাহফুজ মিয়া মামলা পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫, আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা,
এমআই/এমএ/এএসআর
** পরিমলের ছাত্রী ধর্ষণ মামলার রায় দুপুরে