ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্পিড ব্রেকার দাবি

বরিশাল টেক্সটাইল কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-সড়ক অবরোধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
বরিশাল টেক্সটাইল কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-সড়ক অবরোধ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: কলেজের সামনের সিঅ্যান্ডবি রোডে স্পিড ব্রেকারের (গতিরোধক) দাবিতে বরিশাল শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ টেক্সটাইল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছেন।

ফলে সড়কের দুই প্রান্তে যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃস্টি হয়।

  তবে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ২০ মিনিট পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ২২ নভেম্বর (রোববার) ৠাগ ডে’র অনুষ্ঠানের সময় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তনুচ কলেজের প্রধান গেটের সামনে রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

এর আগে গত বছর কলেজের শিক্ষক রেজাউল করিম এ সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তখন শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে কলেজের গেটের সামনে সিঅ্যান্ডবি রোডের ব্যস্ততম এ সড়কটিতে গতিরোধক নির্মাণের আশ্বাস দেন প্রশাসনসহ কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও এখনো গতিরোধক নির্মাণ হয়নি।

এছাড়াও এ এক বছরের মধ্যে কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও রাস্তা পার হতে গিয়ে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকে।

এ কারণে বাধ্য হয়েই আজ মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

কলেজের শিক্ষার্থী স্বপন জানান, থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের এবং কলেজ অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. মজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কলেজের প্রবেশদ্বারের সামনের এ সড়কে গতিরোধক নির্মাণের আশ্বাস দেয়। এ আশ্বাসের ফলে প্রায় ২০ মিনিট পর সড়ক অবরোধ তুলে নেন তারা।

এ বিষয়ে কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা মরার পরে মেধাবী হতে চাইনা। এখনই কলেজের প্রবেশদ্বারের সামনের এ সড়কে গতিরোধক চাই। দ্রুত এ দাবি না মানা হলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম বাংলানিউজকে জানান, সড়কটি ঢাকা থেকে পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনাগামী যানবাহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুলিশ সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

বিষয়টি নিয়ে থানার এসি (সহকারী পুলিশ কমিশনার) মো. আনসার উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন কলেজ অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।