মুন্সীগঞ্জ: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুন্সীগঞ্জের সীমন্তবর্তী দু’গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়েছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলার সীমান্তবর্তী সম্ভুপুরা ইউনিয়নের চরকিশোরগঞ্জ ও চরহোগলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বালু মহালের কাউন্টার ও ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুরও করা হয়। এছাড়া বালু মহালে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং ৪টি মোটরসাইকেল লুটের ঘটনাও ঘটে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ মরজল হোসেন (৩০) আমির হোসেন (২৭) ফারুক হোসেন (২৬) জয়নাল আবদিন (২০) রাকিব হোসেন (২২) আরিফ হেসেন (২৮) হারুন মিয়া (২৫) মেহিদী (৭) জব্বর হোসেন (২০) হায়দার হোসেন (২৯) রাকিব হোসেন (১৯) হযরত আলী (৩০) সেলিম (২৯) পিন্টু (২০) সুজন মিয়া (২২) ইয়ামিন (২৫) আয়নল হোসেন (৩০) মনিরুল (৩০) আমিন হোসেন (৩২) নয়ন মিয়া (১৮) মিলনকে (২২) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রামবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কিছুদিন ধরে চরকিশোরগঞ্জ এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির মেম্বার গ্রুপের সঙ্গে প্রতিপক্ষ ঈমাম হোসেনের বিরোধ চলছিল।
এর জের ধরে বুধবার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে প্রতিপক্ষ ঈমাম হোসেন ও তার পক্ষের ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. হারুন রশীদ শেখ সমর্থিত লোকজনের ওপর হামলা চালায় নাসির মেম্বার গ্রুপের লোকজন। পরে দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় নাসির মেম্বার গ্রুপের লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ জন আহত হয়।
গ্রামবাসী আরো জানায়, ঈমাম হোসেন পক্ষের হারুন রশীদ শেখ ইউপি নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে থাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেই তাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে নাসির মেম্বার পক্ষের লোকজন জানান, বালু মহালের আধিপত্য নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
চরকিশোরগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের উপ পরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
আরএ