ঢাকা: সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)।
নাশকতামূলক হামলা চালাতেই রাজধানীসহ এর আশপাশের জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সদস্যদের একত্রিত করার চেষ্টা করছিলো সংগঠনটি।
আটক হওয়া জেএমবির ১১ সদস্যকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৯ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে জেএমবির ১১ সদস্যকে আটক করে ডিবি। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু উগ্রপন্থি বই, বিস্ফোরক দ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আটক জঙ্গিরা হলেন- আরিফ ইবনে খায়ের ওরফে রিফাত, বাবু মুন্সী ওরফে মাসুদ রানা, খোরশেদ আলম, ওমর ফারুক, আলহাজ মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল বাছেদ, সুজাত, আজাহার আলী, ফরহাদ হোসেন ও মিজানুর রহমান।
গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মাহফুজুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আটক ১১ জন জেএমবির সদস্য। তারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিলো বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তাদের অন্য সদস্যদের আটক করতে অভিযান চলছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে আটক হওয়া আরিফ ইবনে খায়ের (রিফাত) বেশি সময় কাটাতেন। তিনি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ইসলামি বই বিক্রি করতেন। বই বিক্রির আড়ালে সংগঠনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন তিনি।
সূত্রটি জানায়, চলতি বছরের জুলাই মাসে জেএমবির সাবেক আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের ছোট ছেলে আবু তালহা মোহাম্মদ ফাহিমসহ ছয় সদস্যকে আটক করে ডিবি। ফাহিম আটক হওয়ার পর তার সহযোগী রিফাত সংগঠনের নেতৃত্বে আসেন। এরপর থেকেই রিফাত সংগঠনের অন্য সদস্যদের সক্রিয় করার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করে আসছিলেন।
গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ফাহিমকে আটকের পর থেকেই রিফাতের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। রিফাত ইসলামি বই বিক্রেতার ছদ্মবেশ ধারণ করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন এবং হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। একই সঙ্গে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলায় থাকা অন্য সদস্যদের একত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন রিফাত।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
এসজেএ/এমজেড