ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁপাইয়ের ঐতিহ্য চাপা মাদকের থাবার নিচে

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
চাঁপাইয়ের ঐতিহ্য চাপা মাদকের থাবার নিচে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শিবগঞ্জ, চাপাঁইনবাবগঞ্জ থেকে ফিরে: ধুলা ওড়া মহিষের গাড়িভরা আমন ধান হেমন্তের গোধূলিতে। চিরন্তন বাংলার এ অপরূপ দৃশ্য দেখা যায় আম-কাঁসা-পিতল-রেশমের দেশ পদ্মা আর মহানন্দা পাড়ের চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ আর মালদহ জেলার সীমান্তবর্তী জেলাটি আদিনা মসজিদ আর সোনা মসজিদের জন্যও বিখ্যাত।

তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র মাহিনের অভিযোগ, সব ঐতিহ্য চাপা পড়ছে মাদক চোরাচালানের ‘বড় রুট’ বদনামের নিচে।
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথে বাসের অন্য সহযাত্রীরাও জানান, দেশের মাদক প্রবেশ পথগুলোর মধ্যে এখানকার শিবগঞ্জ সীমান্ত উল্লেখযোগ্য। সীমান্তের ওপার থেকে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল এখানে প্রবেশের সংখ্যা কেবল পাচারকারীদের হিসাবেই প্রতিরাতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার বোতল। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতলি কুখ্যাত হেরোইন পাচারের রুট হিসেবে। এ হেরোইন রাজশাহীর গোদাগাড়ী হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।

এ সীমান্ত দিয়েই প্রতিনিয়ত আসছে মণ মণ গাঁজা আর প্যাথেড্রিন ও ভারতে তৈরি বড় আকারের নকল ইয়াবা।
 
স্থানীয় একজনের অভিযোগ, এখানে মুচির ঝুপড়ি, সাইকেলের সারাইখানা, হোটেল, মেথরপট্টি, ডাক্তারের চেম্বার, ওষুধের দোকান, পুলিশের পকেট, এমনকি সাংবাদিকের ব্যাগ, সবখানেই পাওয়া যায় ‘জিনিস অথবা মাল’। ফেনসিডিল বা ফান্টুস, হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, প্যাথেড্রিন সবই মিলবে। তবে ইয়াবার দামটা বেশি। এখানে ফান্টু সস্তা ও সরবরাহ পর্যাপ্ত, দেদারছে আসে ভারতীয় মদ বা বিয়ারও। তাই দামি ইয়াবা এখানে কেবল বিশেষ শ্রেণীর মাদক।

শিবগঞ্জ সীমান্ত পথের চারদিকে কেবল আমবাগান আর ধান-কলাইয়ের খেত। আদিনা কলেজ মোড় বা হল মোড়ে একজন গ্রামডাক্তার কাম সাংবাদিক অভিযোগ করলেন, স্থানীয় অনেক ‘সাংবাদিকই’ শিবগঞ্জ থানায় বসে মাদকের দালালি করেন। মাদক ব্যবসায়ীরা আটক হলে তাদের ছাড়াতে সবার আগে থানায় যান ওই ‘সাংবাদিকেরাই’।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোনো সাংবাদিকের কাছেই মাদক সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। তারা নাকি এসব রিপোর্ট করেনও না। কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, কিছু লিখলেই ওই ‘বিশেষ শ্রেণীর সাংবাদিকের’ সহায়তায় পুলিশ সংবাদকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে মাদকের মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এমনকি মাদক উদ্ধারও দেখায়।

সীমান্ত এলাকা ঘুরে অভিযোগ পাওয়া গেছে, শিবগঞ্জের মনাকষা, বিনোদপুর, দুর্লভপুর, পাকা উজিরপুর, শাহাবাজপুর ও শ্যামপুরসহ সীমান্তবর্তী ইউনিয়নের কয়েকশ’ মানুষ সরাসরি মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের সব স্তরকে হাতে রেখেই তারা এ ব্যবসা করছেন। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা ও সদস্যদের সহায়তায় তারা গড়ে তুলেছেন একাধিক মাদক সিন্ডিকেট।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক মাদক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, সাধারণত ঢাকার পার্টির চাহিদা মতো তারা ফেনসিডিল সরবরাহ করেন। প্রতিরাতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার বোতল ফেনসিডিল শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পৌঁছায়। এক্ষেত্রে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের পণ্যবাহী ট্রাক ও ট্যাংকলরিতে মাদক পরিবহন করা হয়। এজন্য চালান বুঝে ৮০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিতে হয় চালক ও হেল্পারকে।
 
শিবগঞ্জের মাদককারবারিরা
অনুসন্ধানে অভিযোগ পাওয়া গেছে, মনাকষা ইউনিয়নের আরাজিচৌকা দাদনচকের মৃত ভদু ও ঈসারুল রাজাকারের ছেলে বর্তমানে সাহাপাড়া গ্রামের হাবিব ও সাবির, তাদেরই আপন চাচাতো ভাই অর্থাৎ দাদনচকের নসেদের দুই ছেলে বাবু ও তার ছোট ভাই সজিব, সাহাপাড়া শ্যামপুর এলাকার আবুর ছেলে গাজলু, আফসারের ছেলে নুর ইসলাম, আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম,নজরুলের ছেলে রবিউল ইসলাম কালু, কুদ্দুসের ছেলে দুরুল ইসলাম, রশিদের ছেলে সাহাবুর, মোকবুলের ছেলে জুড়ান, কুদ্দুসের ছেলে গাজু, রবুর ছেলে নিতাই, মাসুদপুর এলাকার মোহাম্মদ গোলাম উদ্দীনের ছেলে মজিরুল ইসলাম, সাহাপাড়া বাজারের পাশের মোস্তফার ছেলে রনি, একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে রবিউল হক, রবুর ছেলে জামিরুল, নুরেস চোরের ছেলে আনোয়ার, সাহাপাড়া এলাকার ভাদুর ছেলে কালু, ডাকনিপাড়ার আবু মাস্টারের ছেলে হাফি, গইড়াপাড়ার নজরুল চোরের ছেলে আনারুল, মনোহরপুরের তফু মেকার, মোন্না পাড়ার এজাবুলের ছেলে রবিউল মিষ্টি, তারাপুর বাইটনিপাড়ার ইসরাঈল মহরিলের ছেলে মানিক, রাইসুদ্দিনের ছেলে সেলিম রেজা, সাহাপাড়া মুন্সিপাড়ার সোহরাবের ছেলে জিয়ারুল, ডাকাতপাড়ার সেন্টুর ছেলে রকিব ডা., মোন্নাপাড়ার এসাহাকের ছেলে সাত্তার, শ্যামপুর ঘোনটোলার এসাহাকের ছেলে মতি, বাজারের পাশের ইমন মেকার, শ্যামপুরের জাল্লু মোড়লের ছেলে ইব্রাহীম, লুসিমনের ছেলে এসলাম, সাইদুল মাতালের ছেলে করিম, জগন্নাথের ছেলে শিবলাল, মজি মাতালের ছেলে মন্তিজুল, ওসনির ছেলে শ্যামল, এফাজের ছেলে আমির, জাব্বার সরকারের ছেলে বদি, মকবুলের ছেলে ঝাটু ভুত, নজরুলের ছেলে সফিকুল, কুদ্দুসের ছেলে কালাম, মত্তুর ছেলে মধু আলি, গাজুর ছেলে সোহেল আলি, শাহজাহানের ছেলে আলা, বাজারের স’মিলের মালিক জামাল উদ্দিন, আতাউরের ছেলে সুমন, কুদ্দুসের ছেলে দুরুল, করিম কাটার দুই ছেলে রফিকুল ও বারেকুল, হান্নান মেম্বারের ভাই আমু মাদক চোরাকারবারে জড়িত।

সাহাপাড়ার তরিকুল, তারাপুরের সামাদের ছেলে হাবিল, শামিম, ছঘরিয়ার নাসির, মোন্নাপাড়ার শাজাহান বিহারির ছেলে তাইজুদ্দিন, মুন্সিপাড়ার হায়াতের ছেলে আজিজুল, একই এলাকার সোহরাব সর্দারের ছেলে ডালিম, হায়াতের ছেলে ডাকু, তৈমুরের ছেলে মঞ্জুর, সামেদের ছেলে রফিক ভোলা ও হাবিল, মকবুলের ছেলে স্বাধীন, সাত্তার, হারুন ও কালু, তারাপুর সোনাপাড়ার ইসরাইল মহরিলের ছেলে মানিক, ছঘরিয়ার গাভুর ছেলে মেন্টু, সাহাপাড়ার ভাদুর ছেলে কালু, শ্যামপুরের আয়েশের ছেলে রবু, বেলাল উদ্দিনের ছেলে এরফান, তারাপুরের কুবেদ আলির ছেলে মহসিন ও তার ছেলে দুরুল ও মাজরুল, নুহু মোন্নার ছেলে মানারুল, লতিবের ছেলে সেরাজুল, শ্যামপুর ঘোনপাড়ার আবুর ছেলে গাজলু, খাইরুলের ছেলে মনিরুল, মুন্সিপাড়ার তৈমুরের ছেলে হাবিব, নৈমুদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গির, ছঘরিয়ার আজাহারের ছেলে ফটিক, একই এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা রাফিকুল, সোনাপাড়ার হাকিমের ছেলে আহাদ, পণ্ডিতপাড়ার রাজা মুন্সির ছেলে গোফর, ফজল মুন্সির ছেলে আকালু ও কাদের মোল্লার ছেলে রফিক মাদক চোরাচালান করে এনে ব্যবসা করেন।

শ্যামপুরের আনেস বাজিকরের দুই ছেলে টুলু ও বুলু, তারাপুর গ্রামের মোকসেদের ছেলে মজিবুর দালাল, সাহাপাড়ার র্মতুজার ছেলে শাহজাহান, মনোহরপুর খাচ্চাপাড়ার আকালুর ছেলে বারিকুল, তারাপুর ছঘরিয়ার আফজালের ছেলে মনি, একই এলাকার ইসমাইলের ছেলে রশিদ, তারাপুরের একরামুল মাস্টারের ছেলে সুফিয়ান, সাহাপাড়া শ্যামপুরের নুরেস চোরের ছেলে রেহেসান, তারাপুরের আরসাদের ছেলে মাজারুল ইসলাম গামা, মোড়লপাড়ার হজিতুলার ছেলে জামাল, তারাপুর মিস্ত্রি পাড়ার সাহবানের ছেলে কবির, শ্যামপুরের কাইয়ুম দালালের দুই ছেলে মতি ও সুমন, মুন্সিপাড়ার সোহরাবের দুই ছেলে জিয়া ও দেরাম, একই এলাকার জহাকের ছেলে বাবু, মনোহরপুরের জমুর ছেলে বাবলু, পণ্ডিতপাড়ার মাজরুলের ছেলে আলম, মোড়ল পাড়ার নজরুল মাস্টারের ছেলে আলম, তারাপুরের সামাদের ছেলে রাজ্জাক, একই এলাকার কুড়ানের ছেলে নজরুল, মুন্সিপাড়ার নজরুলের ছেলে করিম, ছঘরিয়ার মবুলের ছেলে কাসিম,  বালুটুঙ্গী গ্রামের পশু চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম বাবু ডা., মনোহরপুরের ইদুল, সোহরাব,বিনোদপুরের পিচ্চি গাজলু রফিক, জাহাঙ্গীর, মনাকষার রানীনগর গ্রামের মৃত মাজেদ চাক্কীর ছেলে পুটু চাক্কী, এলাকার শুকুদ্দি মেম্বারের ছেলে বাবু, পারচোকা গ্রামের নোমানের ছেলে ওবাইদুল, মান্নানের ছেলে সিগারেট ব্যবসায়ী পলাশ, নাককাটা বাবলু, মনাকষা হাউসনগর গ্রামের আজাদ, মৃত নৈমুদ্দিনের একরামসহ আরো বেশ কয়েকজনও এ ব্যবসার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

মনাকষা হাউসনগর গ্রামের শফিকুল, শিমুল, কাইয়ুম, মেরাজ, সেরাজুল, মোস্তফা, মোজাম্মেল, মাসুদ মনোহরির ব্যবসায়ী এনামুল, মোজাম্মেল মিষ্টি, সাইদুর কানা, দুর্লভপুর ইউপির বাররশিয়া গ্রামের মৃত জিল্লার রহমানের ছেলে তাজু (বর্তমানে তাজু হাজি) ও তার ছেলে সাবান আলীসহ ৫০ থেকে ৬০ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এসব ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
 
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিবগঞ্জের সীমান্ত এলাকা তারাপুর ও সাহাপাড়া এলাকার সব ধরনের চোরাকারবারিদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন ওই এলাকার বর্তমানে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ভদুর ছেলে হাবিব, ইসারুলের ছেলে সাবির ও আবুর ছেলে গাজলু, তারাপুরের হাবিল এবং মনাকষা এলাকার শুকুদ্দি মেম্বার ও পুটু চাক্কী।

প্রশাসনের কথা
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মইনুল ইসলামের বক্তব্য অনুযায়ী শিবগঞ্জের মাদক ঠেকাতে গলধঘর্ম পুলিশ প্রশাসন। তিনি জানান, প্রতি মাসে তার থানায় ৪০ থেকে ৫০টি মাদক মামলা হয়। অক্টোবরেও ৫৮টি মামলা দায়ের করে আটককৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমরা মূল সিন্ডিকেট চিহ্নিত করেছি। কয়েজনকে আটকও করেছি।
 
৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অপারেশন অফিসার মেজর মিন্নাত আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমার ব্যাটেলিয়ান এলাকায় মাদক নেই- এটা বলবো না। তবে আগের চেয়ে কমে এসেছে। মাদক প্রবেশের ক্ষেত্রে দেশের অন্য সীমান্ত এলাকার চেয়ে এ সীমান্ত একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এখানকার ৭১ কিলোমিটার সীমান্তের ৪৬.৫ কিলোমিটারে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নেই এবং নদী ও চর এলাকা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার বশির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সীমানা প্রাচীর না থাকায় যে কারো পক্ষেই এদেশে প্রবেশ করা সহজ হয়। নদী এলাকা ও চরাঞ্চল হওয়ায় পুলিশের পক্ষে সীমান্তে গিয়ে অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। সে রকম নৌ-যান ও পুলিশ সদস্যও নেই। আমাদের তাই বিজিবির ওপর নির্ভর করতে হয়। টহল গাড়ির অবস্থাও শোচনীয়। অথচ সীমান্তের ওপারেই আছে অবৈধ মাদক কারখানা।
 
তিনি বলেন, এ জেলার অনেক প্রভাবশালীরই সরাসরি মাদক ব্যবসায় ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাজনীতিবিদরা জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে এটা রাজনৈতিক ছত্রছায়া বলবো না। এটা ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত অধ:পতন। আমরা মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করি, চালান করি। তারা জামিনে বের হয়ে আবার যুক্ত হন। আবার ভৌগলিক ও পরিবেশগত কারণে মাদকের সহজলভ্যতার কারণেও নতুন নতুন ব্যবসায়ী তৈরি হচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
আরএম/এএসআর

** গোদাগাড়ীকে আদর করে ডাকা ‘হেরোইন গ্রাম’!
** ভয়ে মুখ খোলে না কেউই
** আখাউড়ার মাদকচিত্র-২: টোকেন বা লাইনম্যানে ম্যানেজ প্রশাসন!
** আখাউড়ার মাদক আখড়ায়-১: ওপার থেকে আসে, এপারের ঘরে ঘরে বিকোয়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।