ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ সাফ জানিয়েছেন, তাদের বাহিনীর কোনো সদস্য মাদক ও চোরাকারবারীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি একইসঙ্গে বলেছেন, এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখাবে বিজিবি।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজিবির সদরদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য রাখছিলেন মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেন, বিজিবির কোনো সদস্য মাদক ও চোরাকারবারীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখাবে বিজিবি। মাদক ও চোরাকারবারীদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরইমধ্যে শতাধিক বিজিবি সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিজিবির নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে স্বীকার করে ডিজি বলেন, ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক শুধু সীমান্ত দিয়ে আসছে না, আকাশ ও নৌপথ দিয়েও প্রচুর মাদক ঢুকছে দেশে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে ও সীমান্ত ব্যাংক স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
বিজিবি সদস্যরাও যেন চাকরি থেকে অবসরের পর সেনা সদস্যদের মতো সুযোগ-সুবিধা পান সেজন্য ব্যাংক ও ট্রাস্ট কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ১২ হাজারের বেশি ইপিআর (বিজিবি’র তৎকালীন নাম) সদস্য অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৮শ ১৭ জন শহীদ হন। শহীদ হওয়া ও খেতাবপ্রাপ্ত সদস্যদের পরিবারকে সহযোগিতার জন্য কাজ করবে এই ব্যাংক।
ইতোমধ্যে বিজিবি’র তহবিল ও ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গত তিন বছরে ৪৮ জন খেতাবপ্রাপ্ত ইপিআর সদস্যের বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
এনএ/এইচএ/