ঢাকা: আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানসহ সর্বস্তরের জনতা।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ‘শিখা চির অম্লান’ প্রাঙ্গণে এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন তারা।
এতে উপস্থিত ছিলেন জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন শেষে জাদুঘর মঞ্চে জাতিসংঘ প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন আবৃত্তি শিল্পী মাহমুদা আখতার।
দিবসের আলোচনায় মফিদুল হক বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় জাতিসংঘ দিনটিকে সারাবিশ্বে স্মরণের ব্যবস্থা করেছে। এ থেকে সবার শিক্ষা নিতে হবে।
গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ১৯৫ পাকিস্তানিসহ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জড়িতদের সবার বিচার এখন সময়ের দাবি মন্তব্য করে মফিদুল হক বলেন, অনেক আন্দোলনের পর ২০০৮ সাল থেকে গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। সব গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করা আমাদের এ দিনের দাবি।
পরে জাদুঘরে মঞ্চে গণহত্যার ওপর শহীদ কবি মেহেরুন্নেসার কবিতা আবৃত্তি করেন তামান্না সারোয়ার নীপা। শহীদ আনোয়ার পাশা রচিত ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ ও মন্টু খান রচিত ‘হায়নার খাঁচায় অদম্য জীবন’ গ্রন্থ থেকে পাঠ করেন সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নাজু। শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীনের কবিতা আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী। ‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ১৯৭১’ গ্রন্থ থেকে পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল।
পরে গণহত্যার ওপর পরিবেশিত হয় বাবুল বিশ্বাস রচিত ও ড. আইরিন পারভীন লোপা নির্দেশিত পদাতিক নাট্য সংসদ বাংলাদেশের নাটক ‘পোড়ামাটি’।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব ৯ ডিসেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ’ দিবস হিসেবে পালন করছে। হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ দিনকে গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫
আরইউ/এইচএ/