ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

ঢাকা: বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এটিএম বাকীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
 
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) কমিশন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ যাছাই করে অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদন দেয়।

অনুসন্ধানের বিষয়টি দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।
 
জানা গেছে, বাকীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ সরাসরি দাখিল হয় দুদক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামানের কাছে। দুদক চেয়ারম্যান এসব অভিযোগ সংস্থাটির যাছাই-বাছাই কমিটি বরাবর পাঠান। যাছাই বাছাই কমিটি অনুসন্ধানের জন্য সুপারিশ করলে কমিশন অনুমোদন দেয়।
 
দুদকের কাছে থাকা অভিযোগে দেখা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা ২টি প্রথম বিভাগ এবং সম্মানসহ স্নাতকোত্তর অথবা স্ব স্ব ক্ষেত্রে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসহ স্নাতক ডিগ্রি।
 
দুদকে পেশ হওয়া অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, এটিএম বাকী ১৯৮৮ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। এর পাঁচ বছর পর উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৯৫ সালে ৩য় বিভাগে স্নাতক (বিকম) উত্তীর্ণ হন। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী, এটিএম বাকী প্রতিষ্ঠানটির প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। তারপরও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের ২৪ এপ্রিল সহ-ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) পদে জিয়া ফার্টিলাইজারে যোগদান করেন।
 
দুদকে আসা অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতার সূতিকাগারে পরিণত করেছেন এটিএম বাকী। যোগ্যতা না থাকা সত্বেও ১৯৯৯ সালে সহ-ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) হিসেবে তৎকালীন জিয়া ফার্টিলাইজারে যোগদান করেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত ১৭ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এটিএম বাকী।
 
অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানে নিজ ইচ্ছেমাফিক তিনি বদলি ও পদায়ণ করাচ্ছেন। এছাড়াও চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটির ১৩ জন শ্রমিক ও ১২ জন কর্মচারীর বয়স অন্যায় ভাবে বৃদ্ধি করেছেন।
 
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, এই কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সালাহ উদ্দিন তাকে প্রটোকলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিসিআইসি চেয়ারম্যানের কাছে বদলির নোট দেন। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানিতেই থেকে যান।
 
এসব অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এটিএম বাকী বাংলানিউজকে বলেন, ‘একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এগুলো করাচ্ছে। আমি যে জায়গায় কাজ করছি সে জায়গায় যিনি বা যারা আসতে চাচ্ছেন তারা এগুলো করাচ্ছেন। ’
 
নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার নিয়োগ অভিজ্ঞতার আলোকে দিয়েছে। কোনো অনিয়মের মাধ্যমে আমি চাকরি পাইনি। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
এডিএ/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।