কক্সবাজার: দরিয়ার পাড়ে শনিবার সকালে কার্নিভালের শেষ দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় পাহাড়ি সুরের তালে। একটু পরে বাশির মোহিণী সুর যখন বাতাসে ভেসে আসছিল, আকাশে তখন উড়ছে রং বেরংয়ের বেলুন।
শুধু কি তাই? ছিল কাবাড়ি খেলা। দুরন্ত সার্ফিং, ঘুড়ি উৎসব। সবমিলিয়ে মেগা বিচ কার্নিভালের শেষ দিনে সবটুকু উচ্ছ্বাসের ঢেউ যেন আছড়ে পড়েছিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।
দর্শকদের মনোরঞ্জনে বাড়তি বিনোদন হিসেবে ছিল লায়ন ড্যান্স, মাইক্রো লাইট এয়ার ক্রাফটসহ দেশখ্যাত সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনা। বিকেলের আকাশ যখন ফানুসের আলোয় আলোকিত ঠিক তখনি বারী সিদ্দিকি খুজে ফেরেন সোয়াচান পাখি। তারপরে মিলার কন্ঠে কন্ঠ মিলান লাখো শ্রোতা। জলের কিনারে জলের গানে মুগ্ধ শ্রোতারা সুরে সুরে পশ্চিমের আকাশে অস্ত যাওয়া সূর্যকে জানায় বিদায়। আর এভাবেই শেষ হয় তিনদিনের আয়োজন।
সমাপনী দিনের আয়োজনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন করার আশ্বাস দেয় পর্যটন করপোরেশন।
বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরার এই প্রয়াস অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব খোরশোদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য কক্সবাজারবাসীকে ধন্যবাদ। প্রতিবছর কক্সবাজারে এমন জাকজমকপূর্ণ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৫
টিসি