ঢাকা: দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁতিবাজারে স্বর্ণ কেনাবেচা করতে আসা ব্যবসায়ী এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোড মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম।
তিনি জানান, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের পাশে লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এ সময় চক্রের আরও পাঁচ সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-চক্রের প্রধান দ্বীন ইসলাম ওরফে কাউছার আহমেদ, কামাল হাওলাদারসহ তাদের সহযোগী আব্দুর রহমান হাওলাদার, মেহেদী হাসান ওরফে হাসান, বাবুল হাওলাদার, রমিজ তালুকদার ও জান্নাতুল ফেরদৌস।
এ সময় তাদের কাছ থেকে মাইক্রোবাস, ডিবি জ্যাকেট, ওয়াকিটকি, ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, হ্যান্ডকাফ, খেলনা পিস্তল, পকেট রাউটার, মোবাইল, এক্সপেন্ডেবল লাঠি ও লেজার লাইট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীর তাঁতিবাজার এলাকায় আসা স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করত। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতি করত।
উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ডাকাতদল রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের দক্ষিণ পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডের সামনে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শাহবাগ থানার একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৪–৫ জন ডাকাত সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ও পলাতকদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।
ডিসি মাসুদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় দ্বীন ইসলামের নামে ১০টি, আব্দুর রহমানের নামে ৩টি, মেহেদী হাসানের নামে ৪টি, বাবুল হাওলাদারের নামে ২টি ও রমিজ তালুকদারের নামে ৪টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এমএমআই/এসআইএস
