ঢাকা: ১০ জানুয়ারি, (২০১৬ সালে-রোববার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানিদের প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। সেদিন লাখো জনতার সামনে যে বক্তব্য তিনি দিয়েছিলেন, বাংলার জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামের শ্রেষ্ঠ নির্দেশনা হিসেবে তা গ্রহণ করেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’। বঙ্গবন্ধুর এ দির্দেশনামূলক ভাষণের পর বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে হঠাৎ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাঙালির ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাজারো মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার মাটি। বঙ্গবন্ধু তথা জাতির পিতাকে ওই রাতেই গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানের কারাগারে।
পরে শুরু হয় মহান মুক্তির সংগ্রাম। বাংলার দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে। বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয় অর্জিত হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ১৯৭২ সালের এইদিনে স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন। সেই থেকে দিবসটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জানুয়রি ১০, ২০১৬
এসকে/আইএ