ঢাকা: বাংলাদেশে আসার আগে মন্ত্রীকে সাবধান করে দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। এ কথা নিজেই ফাঁস করলেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে।
এ কথা বলতে গিয়ে মানিক দে বেশ খানিকটা হেয়ালি করেন। শুরু করেন উল্টো দিক থেকে। তার কথায় হোটেল সোনারগাঁও সুইমিং পুল সংলগ্ন মঞ্চে হঠাৎ নীরবতা নেমে আসে। মন্ত্রী আসলে কী বলতে চাচ্ছেন? কেউ-ই অনুমান করতে পারছিলেন না। এ-ওর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছিলেন। পরে যখন আতিথেয়তার প্রসঙ্গ পাড়লেন ত্রিপুরার মন্ত্রী, সবাই তখন সিনা উঁচু করে নিশ্বাস নেন।
মানিক দে জানান, মিসেস মানিক দে সাবধান করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দারুণ অতিথিপরায়ণ। সেখানে গিয়ে খাওয়ার বিষয়ে হিসেবি ও সংযত হতে হবে। হিসেব করে খেয়ো। ’
তিনি আরও বলেন, মানুষ অনেক সময় কৃত্রিম হাসি দেয়। কিন্তু সেই কৃত্রিম হাসি বোঝা যায়। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সত্যিকারের আতিথেয়তা রয়েছে। এ দেশের মানুষের মধ্যে কোনো কৃত্তিমতা নেই।
মন্ত্রী যখন বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো প্রশংসা করছিলেন। মঞ্চজুড়ে তখন পিনপতন নীরবতা। তার বক্তব্যের পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার ও ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
ভারতের বিদ্যুৎ সেক্টরের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মানিক দে। প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে ত্রিপুরা থেকে আমদানি হতে যাওয়া ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের দাম।
শনিবার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেই নৈশভোজে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে স্ত্রীর সাবধান বাণী ফাঁস করে দেন মানিক দে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আতিথেয়তা বিশ্বজোড়া।
মানিক দে বলেন, দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ছোট-খাটো সমস্যা আছে। সমস্যা না থাকলে সে আবার কীসের মানুষ। সমস্যাগুলো আমরা বসে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলবো। আবার সমস্যা দেখা দেবে। আবার বসে সমস্যা মিটিয়ে ফেলাবো।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
এসআই/এমজেএফ