ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, খালেদা জিয়া ‘বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান মহিলা রাজাকার’। ট্রাইব্যুনালে তার বিচার হওয়া দরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান বীরউত্তম খেতাব পেয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এজন্য খালেদা জিয়াকেও ‘বাংলাদেশের প্রধান মহিলা রাজাকার’ উপাধি দেওয়া যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে ষড়যন্ত্র করার দায়ে পাকিস্তানের কূটনীতিকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ‘দেশের প্রধান মহিলা রাজাকার’ খালেদা জিয়াকেও পাশ্ববর্তী কোনো দেশে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।
রোববার (১০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ মিলনায়তনে ইডেন মহিলা কলেজের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী।
মেহের আফরোজ বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী সমাজকে গৃহে অবরুদ্ধ রেখে বাংলাদেশের কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। যুগে যুগে শিল্প ও সাহিত্যে নারীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। নারীদেরকে নিচু করে দেখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রতিটি সন্তান তার মায়ের নামে পরিচিত হবে, এটাই স্বাভাবিক।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সকলে মিলে যদি বাংলাদেশকে নয় মাসে স্বাধীন করতে পারি, তাহলে নারী-পুরুষ সকলে মিলে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা অসম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
এমএন/এএসআর