ঢাকা: রোববার (১০ জানুয়ারি) সকালে দর্শনার্থীদের আগমন কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। মেলায় প্রবেশের জন্য টিকেট কাউন্টারগুলোতে দর্শনার্থীদের লম্বা লাইনও দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রবেশের গেটগুলোতেও রয়েছে লম্বা লাইন। মেলার ভেতরে বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন পণ্যে দেখছেন। তবে বেশি ভিড় প্লাস্টিক পণ্যের দোকানে।
মেলার অন্যান্য স্টলগুলোও বেশ জমে উঠেছে। ক্রেতাদেরকে বিভিন্ন পণ্যে সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন বিক্রেতারা। মেলার নিরাপত্তা ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা মোকাবেলায় নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মাসব্যাপী ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয়েছে। ওই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এ মেলার আয়োজন করেছে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
গতবারের মতো এবারও মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।
১৩ লাখ ৭৩ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে মেলার মাঠে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ও প্যাভিলিয়ন বসানো হয়েছে।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ছোট বড় মিলে এবারের মেলায় ১৬৮টি প্যাভিলিয়ন ও বিভিন্ন সাইজের ৩৮৭টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি ফুড স্টল ও ৫টি বড় সাইজের রেস্টুরেন্ট।
এসবের মধ্যে ৬০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ১০টি জেনারেল প্যাভিলিয়ন, ৩টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, ৩৮টি ফরেন প্যাভিলিয়ন, ৩৬টি প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৩টি জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৬টি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ২টি ফরেন মিনি প্যাভিলিয়ন, ৬৪টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৬টি ফরেন প্রিমিয়ার স্টল, ২৭৫টি জেনারেল স্টল, ২৫টি ফুড স্টল ও ৫টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
এছাড়া মেলায় একটি ই-শপ, একটি শিশুপার্ক, সুন্দরবনের আদলে একটি ইকো পার্ক, একটি ই-পার্ক, দু’টি রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, দু’টি মা ও শিশুকেন্দ্র, একটি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, ১৪টি স্পটে গার্ডেন, ১৩টি স্পটে ৫২টি টয়লেট, ৩টি স্পটে ৭৭০টি গাড়ি রাখার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে মুসল্লিদের মেলায় নামাজ পড়ার জন্য একটি মসজিদ ও আনসার এবং বেসরকারি সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের জন্য দু’টি ডরমিটরি স্থাপন করা হয়েছে।
মেলার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব, আনসার ও বেসরকারি সিকিউরিটি ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। আগত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ এলে সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সার্বক্ষণিক মেলা প্রাঙ্গনে ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত আছেন।
এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, গেট, পার্কিং এরিয়া ও চারপাশে ১০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এসব ক্যামেরা মনিটরিং করছে।
এবার ৫টি মহাদেশ থেকে বাংলাদেশসহ ২২টি দেশ মেলায় অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
টিএইচ/এফবি/এএসআর