ময়মনসিংহ: ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান বলেছেন, প্রায় ৫৭ বছর ধরে রাজনীতি করি। এর মধ্যে পাঁচ বছর জেলে খেটেছি।
রোববার (১০ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীতে বহ্মপুত্রের ধারে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নয়মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে একসঙ্গে যুদ্ধ করেছেন ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান ও সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। এক থালায় রুটি-ভাজি ভাগাভাগি করে খেয়েছেন। দু’জনের মাঝে ছিল হৃদ্যতাও। কিন্তু সব পাট চুকে যায় মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর।
এসব স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান যখন প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন আমার কাছে গাড়ি পাঠিয়েছিলেন। আমি তার কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, যা হবার হয়েছে, দেশটা তো চালাতে হবে।
‘তিনি আমাকে শিক্ষামন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলেন। উত্তরে আমি বললাম, মাফ চাই। বঙ্গবন্ধুর পায়ের নিচে বসে নীতির কথা শুনেছি। এখন তার রক্তের উপর চেয়ার রেখে মন্ত্রী হতে পারবো না। ’
মন্ত্রী বলেন, দু’দিন পর রাত আড়াইটার সময় ক্যান্টনম্যান্ট থেকে জিয়া আবারও আমার কাছে লোক পাঠালেন। একজন ক্যাপ্টেন ও একজন মেজর। চারদিক থেকে আমার বাসা ঘিরে ফেলা হলো। ওই সময় জিয়াউর রহমান আমাকে গ্রেফতার করে ২৩ মাস কারাগারে আটকে রাখেন।
‘১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে আমি ঢাকায় ছিলাম। জনতার হৃদয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ইন্ডিয়ান আর্মিরা এ সময় আমাদেরকে সরিয়ে দিয়ে বললেন, তোমরা তো সারাজীবনই দেখবা। আমরা একবার দেইখ্যা যাই’ যোগ করেন প্রবীণ এ আওয়ামী লীগ নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
আরএইচ