খুলনা: খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেনকে (১৭) নির্যাতনের ঘটনায় কার্তিককুল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ হামিদকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
একই সাথে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আব্দুল্লাহ আরেফ (পিপিএম) বাংলানিউজকে এই খবর নিশ্চিত করেন।
এদিকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা কার্তিককুল পুলিশ ক্যাম্পে কলেজ ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
জানা যায়, ৫ জানুয়ারি রাতে খুলনার খানজাহান আলী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমরান হোসেনকে কার্তিককুল পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে ৭ পুলিশ সদস্য নির্যাতন করে। ক্যাম্পের মেঝেতে শুইয়ে তার পায়ের পাতা ও হাঁটুতে আঘাত করেন তারা। প্রায় তিন ঘণ্টা নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয় ও পরে সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইমরানের বাবা জামাল হোসেন শুক্রবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবি করেন।
তিনি জানান, বিনা কারণে তার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য তার ছেলেকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পুলিশেরে এ ধরনের আচরণে পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম পুলিশ ক্যাম্পে কলেজ ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে গত ১০ জানুয়ারি আইনগত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কেএমপি কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। কলেজ ছাত্রের বাবা সংস্থাটির কাছে আইনগত সহায়তার দাবিতে আবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনারসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫
এমআরএম/এমজেএফ/