ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, আগামী মার্চের (২০১৬) শেষে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শুরু হবে। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শাহ নেওয়াজ বলেন, ইউপি নির্বাচনের জন্য আইন পরিবর্তন হওয়ায় দলীয়ভাবে নির্বাচন করার বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালায় সংশোধনী আনছি। পৌরসভার আদলে নির্বাচন করার বিধান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান পদে দলীয় এবং মেম্বার পদে নির্দলীয়ভাবে ভোট হবে।
তিনি বলেন, এখন বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে। পৌরসভা নির্বাচনের মতো সংসদ সদস্যরা (এমপি) প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানরাও পারবেন না।
শাহ নেওয়াজ বলেন, আচরণবিধিমালা আগে যেমন ছিল এবারও তাই থাকবে। পরিবর্তন কিছু চিন্তা-ভাবনা করিনি। তবে বিধিমালা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দু’একদিনের মধ্যে খসড়া বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর চূড়ান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচন কয়েক ধাপে করবো- সেটি চিন্তা করিনি। তবে মার্চের আগে শুরু করতে হবে। আগের বার যেহেতু সব নির্বাচন এক সঙ্গে হয়নি, তাই হয়ত ধাপে ধাপেই নির্বাচন করতে হবে। যখন যেটার সময় আসবে সেটা আগে করে ফেলবো। তাই কয়েক বারেই নির্বাচন করবো।
পৌরসভার পুনঃনির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর অনিয়মনের কারণে ৫১টি কেন্দ্র স্থগিত হয়েছিল। এছাড়া কাউন্সিলর পদে সমান ভোট পড়ায় ৪টি আরও কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এতে মাধবদীতে একটি কেন্দ্র অনিয়মের কারণে স্থগিত করা হয়েছে। চৌমুহনিতে একটি কেন্দ্রে ১০০ ভোটার সিল মারার কারণে স্থগিত করা হয়। এছাড়া বেশ সুন্দরভাবে নির্বাচন হয়েছে। যেখানেই অনিয়ম হয়েছে, শাস্তি হিসেবে জরিমানা ও জেল দু’টাই দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে কয়েক ধাপে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে নির্বাচন করেছিল ইসি। সে সময় ২৯ মার্চ ২১ উপকূলীয় উপজেলার শতাধিক ইউপিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। আইন অনুযায়ী, এবারও ২৯ মার্চের মধ্যেই সেই উপজেলাগুলোর ইউনিয়নে নির্বাচন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
ইইউডি/আইএ
** ২৯ মার্চের মধ্যেই ইউপি নির্বাচন