ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক করণ) ১৯৯০ আইনটি সংশোধন করে যুগোপযোগী করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় কাউকাস ও সেভ দ্য চিলড্রেনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব নয়। সংবিধানের ৭(খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য। তবে যেসব দেশ এটিকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো, শিক্ষার হারও বেশি। সংবিধানেও প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার বিধান ১৭ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন শিক্ষানুরাগী সরকার প্রধান হিসেবে অভিহিত করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতার ভিশন ছিল বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক, অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী ও সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে হবে। তাই তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করেছিলেন। তার অসমাপ্ত কাজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পন্ন করে যাচ্ছেন।
সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর টিম হোয়াইট, বিষয়বস্তু অবতারণা করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক (শিক্ষা) তালাৎ মাহমুদ। আলোচনার সারাংশ উপস্থাপন করেন গণ স্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উম্মে রাজিয়া কাজল, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, শামসুল আলম দুদু , ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, জাতীয় শিক্ষা নীতি ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য কাজী ফারুখ, ইউনিসেফ’র এডুকেশন ম্যানেজার মো. মহসীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ