ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খালেদার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জনসমর্থন পায়নি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
খালেদার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জনসমর্থন পায়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জনসমর্থন পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে এই ভাষণের আয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্তিতে খালেদা জিয়া আন্দোলন শুরু করলেন, টানা ৯২ দিন তিনি অফিসে থেকে দেশব্যাপী হত্যাযজ্ঞ, তাণ্ডবের হুকুম দিলেন। তবে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জনসমর্থন পায়নি।

প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের কথা তুলে ধরে বলেন, তাদের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমার শিকার হয়ে নিরীহ বাস ড্রাইভার, বাস-টেম্পো-সিএনজি যাত্রী, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ-বিজিবি-আনসার, সেনাবাহিনীর সদস্য, এমনকি স্কুলের শিক্ষক এবং শিশুও নিহত হয়েছেন। অনেকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন, জীবনের তরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এখন মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস বোমাবাজি উপেক্ষা করে সেদিন আপনারা গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলেন। কিন্তু গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্ব সহ্য করতে পারে না। মানুষ শান্তিতে থাকবে, হাসি মুখে জীবনযাপন করবে তা ওদের সহ্য হয় না।

‘সারাবিশ্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোলমডেল, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা যখন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ডিজিটাইজেশন, এমডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জন, জলবায়ুর প্রতিকূল প্রভাব মোকাবেলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও পুরস্কারে ভূষিত করছে, তখনই ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে বিএনপি জামায়াত আবারও দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা শুরু করে’।

সহিংসতার উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং বিএনপি নেত্রীর আদালত হাজিরায় অনুপস্থিত থাকতে পারা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ জন্য বিএনপি-জামায়াত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু করে সারাদেশে তাণ্ডব ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। সে সময় পেট্রোলবোমায় ২৩১ জন নিরীহ মানুষ নিহত এবং ১ হাজার ১৮০ জন আহত হন। ২ হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেল গাড়ি ও ৮টি লঞ্চে আগুন দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, তবে তার (খালেদার) এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জনসমর্থন পায়নি। ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে নাকে খত দিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। আমি জনগণকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই বিএনপি-জামায়াতের অনৈতিক অবরোধ কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।