কিশোরগঞ্জ: সুড়ঙ্গ কেটে কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংক শাখার ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা চুরির মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হামিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে মামলার বাকি তিন আসামি সোহেল রানার ভাই ইদ্রিছ মুন্সী, স্ত্রী মাহিলা আক্তার হীমা এবং মামা শ্বশুর সিরাজ উদ্দিন ভূঞার বাকীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রধান আসামি সোহেল রানা গত ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সুরঙ্গ কেটে সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে পার্শ্ববর্তী মরহুম আমিনুল হকের বাড়ির একটি কক্ষের ভেতর আনুমানিক ১৫ ফুট দীর্ঘ সুড়ঙ্গের অপর প্রান্তের সন্ধান পায়। পরে ভল্টের টাকা গণনার পর ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। টাকা চুরির মূল হোতা সোহেল ছিল কক্ষের ভাড়াটিয়া। পরে তিনদিন পর ৩০ জানুয়ারি সোহেল রানাকে ঢাকার কদমতলী থেকে ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮০ টাকাসহ ৠাব গ্রেফতার করে। পরে আরও দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মো. আমানুল্লাহ শেখ বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলার তদন্তভার ৠাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনার আলোকে ৠাব-১৪ এর কাছে মামলার যাবতীয় কার্যক্রম হস্তান্তর করে কিশোরগঞ্জ পুলিশ। দীর্ঘ এক বছর তদন্ত শেষে ৠাবের এএসপি রাজিব কুমার দেব, সোহেল রানা, ইদ্রিছ মুন্সী, মাহিলা আক্তার হীমা ও সিরাজ উদ্দিন ভূঞার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোহেল রানার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার গাবুয়া গ্রামে। তার বাবার নাম সিরাজ মুন্সী।
সরকার পক্ষে এপিপি রামেন্দ্র চন্দ্র তালুকদার ও সোনালী ব্যাংক নিযুক্ত আইনজীবী এবি এম লুৎফর রাশিদ রানা মামলাটি পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
বিএস