ঢাকা: গ্রাম থেকে বেড়াতে ঢাকায় দাদার কাছে এসেছে নাতনি সাদিয়া ও মনি। কী এক প্রয়োজনে বাসায় গেছেন দাদা।
দোকান নিয়ে চা, সিগারেট, পানের সঙ্গে হরেক রকম জর্দা বিক্রি করছে এই দুই শিশু। মনি চা বানিয়ে নিজেই খাচ্ছে। দাদা শিখিয়ে দিয়েছেন, কোন পণ্যের কত দাম। নিশ্চিত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা এই শিশুদের কাছ থেকে তামাকজাত দ্রব্য কিনছেন ধূমপায়ীরাও।
আইন বলছে, আঠারো বছরের বয়সের নিচে কোনো ব্যক্তির কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ, ওই বয়সের নিচে কাউকে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির কাজে ব্যবহার করাও যাবে না। আইন লঙ্ঘন করলে রয়েছে জরিমানা।
ভোলা থেকে কয়েক দিন আগে ঢাকায় মিরপুরে সেনপাড়া এলাকায় দাদা হাশেমের বাড়িতে এসেছে বলে জানায় ৫-৬ বছরের সাদিয়া ও মনি। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালেই ব্যস্ত রাস্তার পাশে তাদের বসে থাকার দৃশ্য দেখছিলেন পথচারী ও অফিসগামীরা।
স্কুলে যাও না? সাদিয়ার জবাব, ‘বেড়াতে এসেছি। ’ এর বেশি আর কথা নেই তার মুখে।
আঠারো বছরের নিচে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি ও ব্যবহারের আইন লঙ্ঘনের এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, (১) ২০১৩-তে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি অনধিক আঠারো বৎসর বয়সের কোনো ব্যক্তির নিকট তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করিবেন না, অথবা উক্ত ব্যক্তিকে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিপণন বা বিতরণ কাজে নিয়োজিত করিবেন না বা করাইবেন না। ’
আইনে শাস্তির বিষয়ে বলা হয়, ‘কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন এবং উক্ত ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃ পুনঃ একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি পর্যায়ক্রমে উক্ত দণ্ডের দ্বিগুণ হারে দণ্ডণীয় হইবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এইচএ