রাজশাহী: রাজশাহীতে অপহরণের দুই মাসেও উদ্ধার হননি নাটোর লালপুরের মুদি ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম (৪২)।
গত ৫ ডিসেম্বরর অপহরণের সঙ্গে জড়িত এক নম্বর আসামি সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকার কারণেই অপহৃত সহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর ছেলে শাকিল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সহিদুল ইসলামের ছেলে শাকিল সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত বছরের ২১ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুদি ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম নাটোর জেলার লালপুর থানার দুড়দুড়িয়া কারিগরপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে রাজশাহীতে ব্যবসায়িক বন্ধু সাজ্জাদ ও আজিজের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
দুপুর ১২টায় মোবাইলফোনে জানান সাজ্জাদের শিরোইল মঠপুকুরের বাসায় তিনি আছেন এবং বিকেলের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে আবারো ফোন করেন। এসময় তিনি জানান ‘তার বিষয়-সম্পত্তি যা আছে তা বিক্রি করে সাজ্জাদের বাড়িতে আসতে। না হলে ওরা তাকে মেরে ফেলবে। ’
পরে টাকা জোগাড় করতে না পারলে পরদিন ২২ নভেম্বর সাজ্জাদের মোবাইলফোন থেকে কল করে আজিজ ও সাজ্জাদ সেদিনের মধ্যে টাকা জোগাড় করতে বলেন। না হলে তারা তার বাবাকে উদ্ধার করতে পারবে না। এর প্রায় ১০ মিনিট পরে বাবা সহিদুল ইসলাম তার মোবাইল থেকে কল করে বিকেল ৫টার মধ্যে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এ ঘটনায় ওদিন নাটোর লালপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থল রাজশাহী হওয়ায় পরদিন বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়েরের জন্য এলে তারা গড়িমসি করেন।
পরে ২৬ নভেম্বর র্যাব-৫ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ডিসেম্বর ৠাব নগরীর শিরোইল এলাকার বাড়ি থেকে সাজ্জাদকে আটক করে। পরদিন তাকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় সোপর্দ করা হলে ৩৪৪/৩৮৫/৩৪ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সাজ্জাদকে রিমান্ডে না নিয়েই করাগারে পাঠানোয় অপহরণ সম্পর্কে কোনো তথ্য উদ্ধার করা যায়নি। এতে তার বাবার জীবন নিয়ে তারা শঙ্কার ভেতর আছেন।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এসএস/এএ