বেনাপোল(যশোর): যশোরের বেনাপোল সীমান্তে চোরাচালান ঘাট নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলি ও বোমার আঘাতে নারী-পুরুষসহ নয়জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও দু’টি হাত বোমা উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা শুরু হয়। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও থেমে থেমে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা চলছিল।
আহতরা হলেন, সিরাজ আওলিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২২), সামসুর আওলিয়ার ছেলে ইব্রাহিম (১৬) ও হোসাইন (২৪), নজরুল মোল্লার ছেলে ইমরান (১৯), অজিত গাজির ছেলে হাবিবুর (২০), সুলতানের ছেলে আব্দুল্লা (১৮), লুৎফরের ছেলে হাবিবুর (২৫), আলতাফ মোড়লের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০) ও নজুর ছেলে শিমুল (১৭)।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ে বালুন্ডা বিশ্বাস পাড়ার জুলু ও আলতাফের লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের আওলিয়া পাড়ার রফিক আওলিয়া ও সিরাজ আওলিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা পাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার ভোরে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর দু’পক্ষের লোকজন একে অপরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হাতবোমা ও বন্দুকের গুলিতে নারী-পুরুষসহ নয়জন আহত হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তব্বর রহমান বলেন, এ দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য তিনি দু’পক্ষকে ডেকেছিলেন। কিন্তু কেউ তার কথায় সারা দেয়নি। অবশেষে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে দু’টি হাত বোমা ও একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেনি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
আরএ