ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে জিলু হত্যা মামলার চার্জশিটে বাদীর নারাজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
সিলেটে জিলু হত্যা মামলার চার্জশিটে বাদীর নারাজি

সিলেট: সিলেটে আলোচিত ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু হত্যা মামলার দাখিল করা চার্জশিটের ওপর নারাজি দিয়েছেন বাদী।

প্রধান আসামি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মাহবুব কাদির শাহীসহ ১২ জনকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী নিহত জিলুর ভাই আহমেদ আহসান মাহবুব বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-১ এ নারাজি দেন।



বাদী পক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক সেলিম, মোতাহির আলী, মোহাম্মদ জুয়েল ও তাহমিনা তাবাসসুম আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে আংশিক নারাজি আবেদন করেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, সব আলামত ও তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও তদন্তকারী কর্মকর্তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রধান আসামি শাহীসহ ছাত্রদল কর্মী জয়নাল আবদীন, মো. সাদিক, গাজী লিটন, সালেহ আহমদ, নেছার আলম শামীম, কাউসার আহমদ, নাসির আহমদ, খাইরুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন মঞ্জু, রায়হান খান বাবলা ও হেলাল আহমদকে বাদ দিয়েছেন।

এ সময় বাদীর ন্যায় বিচারের স্বার্থে সকল আসামিদের অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ কিংবা পিবিআই, ডিবি বা সিআইডির মাধ্যমে তদন্ত করার আদেশ প্রদানে আর্জি করেন তাদের আইনজীবীরা।

আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জশিটের উপর শুনানির জন্য আগামী ১০ মার্চ তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাহমিনা তাবাসসুম।

আদালতে নারাজি আবেদনের বরাত দিয়ে এ আইনজীবী জানান, এতে দাখিল করা চার্জশিটের নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, নিহত জিল্লুর শরীরে ৯টি আঘাত রয়েছে। যার সঙ্গে প্রধান আসামিসহ অন্যদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে।

তার পরও তদন্তকারী কর্মকর্তা ইচ্ছামত চার্জশিট লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি আসামিদের দ্বারা প্ররোচিত হয়েছেন। আবেদনটি মঞ্জুর করে বাদ দেওয়া আসামিসহ সকল আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/৩২৬/৩০২/১১৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করার আর্জি করা হয়।
গত বছরের ২৭ জুন নগরীর পাঠানটুলায় গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলুকে প্রকাশ্যে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পর সাবেক ছাত্রদল নেতা শাহীসহ দলের ২০ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই আহমেদ আহসান মাহবুব বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ঘটনার সময় স্থানীয় জনতার হাতে দুজন আটক ছাড়া মামলা দায়েরের পর কোন আসামিকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের দেড় বছর পর গত ৭ ডিসেম্বর বাদীকে না জানিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমর উদ্দিন। চার্জশিটে তিনি প্রধান আসামিসহ ১২ জনকে বাদ ছাড়াও নতুন করে ১১ জনকে অভিযুক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
এনইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।