সিরাজগঞ্জ: ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাকার হুমকি দিয়েছেন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি)দুপুর ১২টার দিকে জেলা বাস, কোচ ও মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) আবেদ আলীর নেতৃত্বে মহাড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে কাগজপত্র দেখার নাম করে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছে। প্রতিদিনই মালিক ও শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। চাঁদা না পেয়ে নিরীহ শ্রমিকদের মারপিট ও মামলা দেওয়া হচ্ছে।
অথচ ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগা দিয়েই মহাসড়কে থ্রি-হুইলার লেগুনা নিয়মিত চলাচল করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বৈধ যানবাহনের মালিক-শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে বারবার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ অবস্থায় আগামী ১৯ জানুয়ারি ট্রাফিক পরিদর্শক আবেদ আলীকে প্রত্যাহার ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা না হলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা বাস, কোচ ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম জানবক্স, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সোহরাব আলী, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী ও প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
শ্রমিক-মালিক নেতৃবৃন্দের দেওয়া আন্দোলনের হুমকির বিষয়ে ট্রাফিক পরিদর্শক আবেদ আলী বলেন, মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ নয়। মহাসড়কে লেগুনা চলতে দেওয়ায় তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লেগুনা বন্ধ করা হলেই তাদের আন্দোলনও বন্ধ হয়ে যাবে।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
পিসি/