ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনের গোলটেবিল

ভেজাল মশার কয়েলে আক্রান্ত হচ্ছে গর্ভের শিশুও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
ভেজাল মশার কয়েলে আক্রান্ত হচ্ছে গর্ভের শিশুও ছবি: কাশেম হারুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ভেজাল মশার কয়েলে অতিরিক্ত পরিমাণে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে গর্ভের শিশুও নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

গর্ভস্থ শিশুরা নানা ত্রুটি, বিশেষ করে ঠোঁট কাটা ও বাঁকা হাত-পা নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। এছাড়া অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, কিডনি সমস্যা, নিউমোনিয়ার মতো কঠিন রোগ নিয়ে শিশুরা পৃথিবীতে আসছে বলে জানিয়েছেন গায়নোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী।
 
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডব্লিউএমজিএল) কনফারেন্স রুমে ‘অনুমোদনহীন বিষাক্ত মশার কয়েল: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোক্তারা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।

গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
 
ভেজাল মশার কয়েলের ক্ষতিকর নানা দিক উল্লেখ করে ডা. নওশিন শারমিন পূরবী বলেন, নিম্নমানের মশার কয়েলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। আদর্শ কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না। আইনের তোয়াক্কা না করেই ভেজাল মশার কয়েল বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ভেজাল মশার কয়েলের রাসায়নিক নানাভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। যেমন প্রথমে মশার কয়েল ঘরে ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়াটা বাতাসে মিশছে। এরপর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এ ধোঁয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে।
 
‘ভেজাল মশার কয়েলের থাবায় নারী-পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। গর্ভাবস্থায় মায়েরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি নারী ও পুরুষ এর ফলে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছেন। হাসপাতালে এমন রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আমাদের লিভার ও কিডনির সমস্যা হচ্ছে এসব অনুমোদনহীন ভেজাল মশার কয়েলের কারণে। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে’- বলেন ডা. পূরবী।
 
গোলটেবিল আলোচনার সঞ্চালক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, সমাজে নকল ও ভেজালের পরিমাণ বাড়ছে। এর ফলে বাড়ছে স্থাস্থ্যঝুঁকিও।   এসব জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে- এর কোনো বিকল্প নেই। যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তা হতে দেওয়া যাবে না। সচেতনতার কারণে অনেক সংকটের উত্তরণ সম্ভব হবে।
 
এসিআই লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর বলেন, আমরা সরকারের নানা সংস্থার অনুমোদন নিয়েই মশার কয়েল তৈরি করে থাকি। একইভাবে দেশে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা মশার কয়েল তৈরি করে থাকে। অথচ প্রচুর পরিমাণে ভেজাল চায়নিজ মশার কয়েলে বাজার ভরে যাচ্ছে। এসব মশার কয়েলের কোনো অনুমোদন নেই। এসব পণ্য আমদানি ও বাজারজাতকরণ বন্ধে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
গোলটেবিল আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত আছেন বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. এএমএম সালেহ ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।