ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধাদের অবসর ৬৫ বছর

সোমবারের মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
সোমবারের মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের আহ্বান ছবি: রাজীব/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৬৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব আগামী সোমবারের (১৮ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভায় তোলার আহ্বান জানিয়েছে চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করা অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আইন তৈরির প্রস্তাব এবং আইন না হওয়া পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা।


 
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়।
 
‘মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ সহ্য করা হবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  এ উক্তি নিয়ে বিশেষ এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ন্যাশনাল এফএফ ফাউন্ডেশন ও চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম।
 
ন্যাশনাল এফএফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো: আবু কাওছার।
 
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধা ফোরামের নেতা হেদায়েতুল বারী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ মাজেদ, মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলার বাদী খাদ্য বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জামাল উদ্দিন শিকদার প্রমুখ।  
 
আপিল বিভাগের রায় কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যদি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের কেনো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান ও অধিকার দেওয়া হবে না?
 
মুক্তিযোদ্ধাদের এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সর্বোচ্চ সম্মান এবং মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রাখেন।
 
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান গয়েশ্বর রায়সহ বিএনপি নেতারা বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে থাকেন। কিন্তু একবারের জন্যও স্বাধীনতাবিরোধী-পাকিস্তানপন্থীদের নিয়ে বিরুপ কোনো মন্তব্য করতে শুনিনি। এতে প্রমাণিত হয়, তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি।  
 
স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিক অধিকার বাতিলের আহ্বান জানিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও  মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষকারীরা এদেশের নাগরিক থাকতে পারেন না। স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিক অধিকার থাকতে পারে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসএমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।