ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
সেমাবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে ৬৫ বছর করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিলো।
বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শফিউল আলম।
সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় প্রস্তাবটি তোলা হয়। যেহেতু বর্তমান সরকারই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৬০ বছর করেছে, তাই নতুন এ প্রস্তাবটি বিবেচনা করেনি মন্ত্রিসভা।
শফিউল আলম জানান, ২০০৬ সালের ১২ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছরে উন্নীত করতে একটি প্রস্তাব সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠায়। কিন্তু সে সময়ে প্রধান উপদেষ্টা সেই প্রস্তাবে অনুমোদন না দেওয়ায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের দ্বারস্ত হন।
ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৬০ বছর করে সরকার।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের রায় দেন হাইকোর্ট।
পরে সরকার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আদেশ দেন।
সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় ওঠালে মন্ত্রিসভা সে প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি। ফলে প্রজাতন্ত্রের মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছরই থাকছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া মন্ত্রিসভায় জাতীয় ই-সেবা আইন-২০১৫ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও তা আরো পরীক্ষা- নীরিক্ষা ও পর্যবেক্ষণের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গত ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাহারাইন সফরের বিষয়টি মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।
** সৌদি জোটে যাওয়া নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা
** বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠছে
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসএমএ/বিএস/এএসআর