ঢাকা: সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী জোটে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনার সূত্রপাত করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
এ সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানতে চেয়েছেন এটা সমারিক জোট কিনা। এ ধরনের কোনো জোটে যেতে জাতীয় সংসদের অনুমোদন নিতে হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী জোটে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানতে চান। বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন নতুন যে জোটে যাচ্ছে সেটা সামরিক জোট কি না? এ ধরনের কোনো জোটে যেতে হলে জাতীয় সংসদে অনুমোদন নিতে হয়। আমি বিষয়টি সম্পকর্কে জানি না। পত্রিকায় দেখলাম বাংলাদেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়েছে।
এ সময় আরও দুই একজন মন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। একজন মন্ত্রী বলেন, ওআইসি’র (অরগানাইজেশন অব ইসলামিক করফারেন্স) সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন এ জোটে ইরানসহ কয়েকটি দেশ যোগ দিচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশ কেন যোগ দিয়েছে?
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানান, এটি কোনো সামরিক জোট নয়, এটি সন্ত্রাসবিরোধী একটি সমঝোতা চুক্তি। এছাড়া জোটের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
সূত্র আরও জানায়, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা থামিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি খুব পরিষ্কার। এটা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। এই পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বাসী। এই নীতি আমরা অনুসরণ করছি।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষত মুসলিম দেশগুলোতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী সংগঠন সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রেক্ষাপটে গত ১৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইসলামি রাষ্ট্রগুলো সন্ত্রাসবিরোধী একট গঠনের ঘোষণা আসে। বাংলাদেশ এই জোটে অংশ নিয়েছে। এই জোটের সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ৩৪টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসকে/এমজেএফ