ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এমন বিধান রেখে নির্বাচনী আচরণ বিধি সংশোধন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ইসি সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ।
তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধির (ইউপি) চূড়ান্ত খসড়া করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই আইন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য (ভেটিং) পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ে ভেটিং করে পাঠালেই তা চূড়ান্ত করে খসড়া প্রকাশ করা হবে।
এদিকে আচরণ বিধিমালায় আরো কিছু নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, যা দলীয় অন্য নির্বাচনে নেই।
শাহ নেওয়াজ বলেন, অন্য নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হতে হলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের সমর্থন লাগতো। কিন্তু ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে হলে নির্দিষ্ট ভোটারের সমর্থন লাগবে না। এছাড়া হলফনামা এবং ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশনও (টিআইএন) লাগবে না।
নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য প্রচারণার ক্ষেত্রে বাঁধা থাকবে না। তবে সরকারি সুবিধা বাদ দিতে হবে। তিনি সরকারি সুবিধাসহ প্রচারণায় যোগ দিতে পারবেন না। শুধু দলীয় নেতা বা কর্মী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, আইন অনুসারে প্রার্থীরা ভোটগ্রহণের ২১ দিন আগে থেকে প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা যেহেতু দলের প্রার্থী হবেন, তাদের প্রতীক আগে থেকেই জানা থাকবে। কিন্তু তারা প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় যেতে পারবেন না। প্রতীক বরাদ্দের আগে কেবল প্রতীক ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে প্রচারণা করলে আইন লঙ্ঘন হবে না।
তিনি বলেন, যেহেতু চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে। তাই তারা প্রতীক পাবেন প্রতীক বরাদ্দের পর। এই বারটুকু রেখেছি যে, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রতীক নিয়ে প্রচারণা করা যাবে না। অন্যথায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বৈষম্যের শিকার হবেন।
ভোটগ্রহণের তফসিলের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, আচরণ বিধিমালা ভেটিং হয়ে আসলে তফসিল নিয়ে বসবো। তখন মিটিংয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো, কখন কিভাবে নির্বাচন হবে।
আগামী মার্চের শেষে দেশের মেয়াদউত্তীর্ণ ইউপিগুলোর নির্বাচন শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রথম দফায় মার্চের শেষে প্রায় ৭ শতাধিক ইউপিতে নির্বাচন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
ইইউডি/বিএস